দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম কেন প্রয়োজন ?

121163_1সিটিএন ডেস্ক :

 স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রাতে একটানা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজনীয়তার কথা প্রায়ই বলে থাকেন। এ নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে বিশ্বজুড়ে এবং প্রতিবারই এর অপরিহার্যতা প্রমাণিত হয়েছে।

সে ধারাবাহিকতায় নতুন করে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের প্রদাহ এড়াতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের বিকল্প নেই।

ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, মাঝ বয়সে যারা রাতে ছয় ঘণ্টার কম কিংবা ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুমান, তারা প্রায়ই নিম্নমাত্রার শারীরিক প্রদাহে ভুগে থাকেন।

যারা রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান, তাদের সঙ্গে তুলনামূলক পর্যালোচনার পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।

ইস্টার্ন ফিনল্যান্ডে পরিচালিত ওই গবেষণায় অংশ নেন ২,৬৮২ জন। এর আগের গবেষণাগুলোতে অপর্যাপ্ত ঘুমের সঙ্গে নিম্ন মাত্রার শারীরিক প্রদাহের সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে।

ঘুমের ব্যাপ্তিকাল ও সিরাম মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট কনসান্ট্রেশনের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় ও বিশ্লেষণে এ ধরনের প্রথম গবেষণা এটি।

সিরাম কপার কনসান্ট্রেশন ও দীর্ঘ সময় ঘুমের মধ্যে একটি যোগসূত্র পাওয়া গেছে এ গবেষণায়।

যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন, বিষাদগ্রস্ত ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তারা নিম্নমাত্রার প্রদাহে আক্রান্ত হতে পারেন। সিরাম মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট কনসান্ট্রেশন নানা কারণে প্রভাবিত হয়।

কোনো ব্যক্তির সাধারণ স্বাস্থ্য ও খাদ্যাভ্যাসও এর অন্তর্ভুক্ত। ইউনিভার্সিটি অব ইস্টার্ন ফিনল্যান্ডের গবেষক মারিয়া লুয়োজুস বলেন, এ গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এটা বলা অসম্ভব যে, দীর্ঘ সময় ঘুমানোর ফলে উচ্চমাত্রার সিরাম কপার কনসান্ট্রেশনে আক্রান্ত হওয়া বা ঠিক বিপরীত ঘটনা ঘটে কিনা।

উচ্চমাত্রার সিরাম কপার কনসান্ট্রেশনের সঙ্গে প্রো-অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের সম্পর্ক রয়েছে। সাধারণভাবে, হৃৎপিণ্ডে ধমনীর অসুখের মতো বিভিন্ন দুরারোগ্য ও কঠিন ব্যাধিতে প্রো-অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

সূত্র: আইএএনএস


শেয়ার করুন