দেশের উন্নয়নে তরুনদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে -রাশেদ খান মেনন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, কক্সবাজার জেলার উদ্যোগে শহরের জেলা মুক্তিযুদ্ধ মিলনায়তনে এক কর্মী সভা শুক্রবার বিকালে অনুষ্টিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন এম,পি।
তিনি বলেন, “দেশের অবকাঠামোগুলো ধ্বংসের পায়তারা চলছে”। তেল, গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিতে কিছু বাম দলের প্রভাবে যাদের গণতান্ত্রিকভাবে কোন অর্থই নেই। লিফলেটে সচেতনভাবে চীন, রাশিয়া, ভারতকে এক কাতারে নিয়ে যাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য ছাড়া প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য তা করা হচ্ছে। তরুনদের এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের ন্যায় ভূমিকা পালন করতে হবে। একমাত্র ওয়ার্কার্স পার্টিই সংসদে এবং সংসদের বাইরে রামপালের বিরোধীতা করেছে। প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ইকোলজিক্যাল কালচালার জোন এর বাইরে নিয়ে যেতে হবে। কিছু বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রকৃতি ধ্বংসের কোন মানে হয় না। এ অবস্থা চলতে থাকলে জাতীয় কমিটির আন্দোলনের কোন পরিণতি না হয়ে অকাল মৃত্যু ঘটতে পারে। এ অবস্থা দিয়ে জনগণকে সংঘটিত করা যাবে না।
যুদ্ধপরবর্তী ৭ কোটি মানুষকে যখন খাওয়ানো যাইনি, সেখানে আজ পর্যাপ্ত চাল মজুদ করে বিদেশে রপ্তানী করা হচ্ছে। কৃষক, লবন চাষী ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনের পাশে তরুন যুবকদের থাকতে হবে। জেল থেকে বেড়িয়ে ছাত্ররাজনীতি শেষ করে কৃষক ফ্রন্টে কাজ করার পেছনে আসার উদ্দেশ্যে ছিল গরীব মেহনতি মানুষের পাশে দাড়ানো। এদেশ আজ দরিদ্র দেশ নই, প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। এক্ষেত্রে পর্যটন শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অবস্থায় বিশাল পরিবর্তন করা সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের ন্যায় আত্মত্যাগের আকুলতা জাগ্রত করে তরুন যুবকদের দেশ বির্নিমানে অংশগ্রহণ করতে হবে। আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রেতা, আদম ব্যবসায়ীদের চক্রান্তে মায়ানমার রোহিঙ্গা সমস্যা ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। জাতিসংঘের কাছে আকুল আবেদন আজ মানবতার পেছনে দাড়ানোর লক্ষ্যে রাখতে হবে। আরাকান আর্মি গোষ্টির মত সংঘটন যেন ঘাঁটি করতে না পারে।
জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড হাজী বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহেদের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত কর্মী সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য দিপংকর সাহা দিপু, সাবেক ছাত্রনেতা তৌহিদ রহমান, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক মন্ডলির সদস্য আবুল কালাম, যুবমৈত্রী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কায়সার আলম, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অরন্য অনিমেষ, ছাত্রমৈত্রীর জেলা সভাপতি সুজাউদ্দিন, জেলা সাধারণ সম্পাদক জিকু পাল প্রমুখ।


শেয়ার করুন