দুর্যোগপূর্ণ অবহাওয়ায় বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস ব্যাহত

বন্দর-300x160সিটিএন ডেস্ক:

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস ব্যাহত হচ্ছে। লাইটার জাহাজ চলাচলে অসুবিধা এবং এক জাহাজ থেকে আরেক জাহাজে স্থানান্তরের সময় বৃষ্টিতে খোলা পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রনান্সর্পোট কো-অর্ডিনেশন সেলের কো-কনভেনর জাহাঙ্গীর আলম বলেন , ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বর্তমানে ২২টি মাদার ভ্যাসেল অবস্থান করছে । এ সব মাদার ভ্যাসেলে এমওপি,টিএসপি,ইউরিয়া, চাল, শস্য,চিনি ইত্যাদি পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে বৈরি আবহাওয়ার কারণে শনিবার মাত্র তিনটি মাদার ভ্যাসেল থেকে সীমিত আকারে পণ্য খালাস হয়েছে ।’
তিনি বলেন, ‘মাদার ভেসেলগুলো বন্দর জেটি পর্যন্ত আসতে পারে না। তাই এগুলো পণ্য নিয়ে বহির্নোঙ্গরে অবস্থান করে। লাইটার জাহাজ (ছোট আকারের জাহাজ) বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত মাদার ভেসেল থেকে পণ্য বোঝাই করে জেটিতে নিয়ে আসে। সাগর উত্তাল থাকলে বিশেষ করে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হলে লাইটার জাহাজ চলাচল করতে পারে না। এছাড়া টানা বৃষ্টি হলে খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার ও সার-এর মতো পণ্য মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে স্থানান্তরের সময় নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। একারনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস ব্যাহত হয়।’
সংগঠনটির যুগ্ন- সম্পাদক টিটু পাল সিটিজিনিউজকে বলেন, ‘শনিবার বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস দুই তৃতীয়াংশ কমে গেছে। যেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫টি জাহাজ পণ্য খালাস করতে বহির্নোঙ্গরে যায়, সেখানে শনিবার ১০টি লাইটার জাহাজ বহির্নোঙ্গরে পণ্য আনতে গেছে।’
এর আগের দুইদিনও একই অবস্থা ছিলো বলে তিনি জানান।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টির কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে ।


শেয়ার করুন