দুঃসহ স্মৃতি এখনও কাঁদায় স্বজনহারা মানুষগুলোকে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ভয়াবহ ২৯ এপ্রিল দিনটি। যে দিন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ দিন। দুঃসহ সে স্মৃতি এখনও কাঁদায় স্বজনহারা মানুষগুলোকে। সেই ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতি বয়ে নিয়ে আবারও উপকূলীয় মানুষের কাছে দিনটি ফিরে এসেছে।
দিনটিকে স্মরণ করে খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডস্হ হিলফুল ফুজুল ছাত্র সংসদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম আকতার কামাল আজাদ।
১নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আতিকুল্লাহ কোং এর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার ‘র যুগ্ম সম্পাদক শিক্ষাবীদ হুমায়ুন সিকদার ও শিক্ষাবীদ এম এজাবতুল্লাহ কুতুবী।
ছাত্র সংসদের উপদেষ্টা মোঃ ইউনুস কুতুবীর সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন বড় মসজিদের খতিব মাওঃ আমিনুল হক।
বক্তারা বলেন, ২৯ এপ্রিলের মতো ফের ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড়ের আশংকায় উপকুল বাসী। পবিত্র রমজানে যেনো এধরণের গজব থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করেন এমনটাই মুনাজাত মহান রবের কাছে।

সে ৩০ বছর আগে ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারগুলোর মাথা গুজার ঠাঁই মেলেনি এখনো।
শত – সহস্র অসহায় পরিবার কুতুবদিয়ার বেডিবাধেঁর বাইরে মানবেতর জীবনযাপন করছে।একইভাবে মহেশখালীর ধলঘাটা ও মাতারবাড়ী পেকুয়ার মগনামা, রাজাখালী ও উজানটিয়া এবং চকরিয়ার বদরখালীতে বেডিবাধেঁর বাইরে অসংখ্য দরিদ্র পরিবারের মাথাগুজার ঠাঁই।
সেদিনের দুঃসহ ঘটনার বিবরনীতে জানা যায়,
ওইদিনের নিহতের সংখ্যা বিচারে স্মরনকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলির মধ্যে একটি। এটি ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল বাংলাদেশে দক্ষিণপূর্ব চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২৫০কিমি/ঘণ্টা বেগে আঘাত করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৬মিটার (২০ ফুট) উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত করে এবং এর ফলে প্রায় ১,৩৮,০০০ মানুষ নিহত হয় এবং প্রায় ১ কোটি মানুষ আশ্রয়হীন ও তাদের সর্বস্ব হারায়।


শেয়ার করুন