সিটিএন ডেস্কঃ
২৫ বছরের মধ্যে দেশটিতে প্রথমবারের মতো অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণার জন্যই সু চি প্রদেশটিতে সফরে যাচ্ছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
২০১২ সালে এই প্রদেশেই সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অনেক মানুষ প্রাণ হারান, বাস্তুচ্যুত হন লাখো মানুষ।
ওই ভয়াবহ দাঙ্গার ব্যাপারে সু চি তেমন কোনো ভূমিকা গ্রহণ করেননি, রোহিঙ্গাদের নিয়েও কোনো মন্তব্য করেননি। তার এই নিরবতা ব্যাপক সমালোচিত হয়।
অন্যদিকে, সংখ্যা গরিষ্ঠ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনেকে তার বিরুদ্ধে মুসলিমদের সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ করে থাকেন।
২০১২ সালের ওই দাঙ্গায় নিহতদের প্রায় সবাই রোহিঙ্গা মুসলিম। ওই ঘটনার পর থেকে রাখাইন প্রদেশে এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম তাঁবু খাটিয়ে শিবিরে বাস করছেন।
রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসাবে স্বীকার করে না দেশটির সরকার। আর এ কারণে তাদের উপর অনেক বিধিনিষেধ তো রয়েছেই। পাশাপাশি তারা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার থেকেও বঞ্চিত।
মিয়ানমারে বিবিসির প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এটা প্রায় নিশ্চিত যে, সফরে তিনি কোনো রোহিঙ্গার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না, এমন কি তাদের পক্ষে যায় এমন কোনো বক্তব্যও রাখবেন না।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশটিতে আসন্ন নির্বাচনে ভোটের রাজনীতির কারণেই তিনি এই অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
জানা গেছে, সু চির সফরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ১ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী।
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে দেশটির আটটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অস্ত্রবিরতি চুক্তি সই হওয়ার একদিন পর রাখাইন প্রদেশ সফরে গেলেন সু চি।
আশা করা হচ্ছে, সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর এই অস্ত্রবিরতি চুক্তির ফলে দশকের পর দশক ধরে চলা সহিংসতার অবসান হবে।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই দেশটির সরকার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সোচ্চার অনেকগুলো গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে।