দাউদ ইব্রাহীমের ১৫ হাজার কোটি রুপির সম্পদ জব্দ?

 

দাউদ ইব্রাহীমমাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহীমের ১৫ হাজার কোটি রুপির সম্পদ জব্দ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সরকার। আমিরাতের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম এবিপি নিউজ এ কথা জানিয়েছে।
তবে আজ বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের গোয়েন্দা ও তদন্ত সংস্থাগুলো এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এ ধরনের খবর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। আমিরাত কর্তৃপক্ষও ওই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেনি।
এদিকে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এক টুইট বার্তায় বলেছে, দাউদ ইব্রাহীমের ১৫ হাজার কোটি রুপির সম্পদ জব্দ করেছে আমিরাত। এ ঘটনাটিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বড় কূটনৈতিক সাফল্য’ বলে বর্ণনা করেছে দলটি। টুইট বার্তায় দলটি জানায়, ভারত সরকারের দেওয়া নথিপত্র অনুযায়ী আমিরাত দাউদ ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে ওই পদক্ষেপ নিয়েছে। টুইট বার্তায় আরও বলা হয়, ‘মোদির বড় কূটনৈতিক সাফল্য: ইউএইতে ভারতের শীর্ষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহীমের ১৫ হাজার রুপি মূল্যের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।’ দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ২০১৫ সালে মোদির আমিরাত সফরের সময় তিনি দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে দাউদ ইব্রাহীমের সম্পদের তালিকা হস্তান্তর করে।

‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে পরিচিত ৫৯ বছর বয়সী দাউদ ইব্রাহীম পাকিস্তানের করাচিতে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। ভারত গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে তাঁকে খুঁজছে।

দাউদ ইব্রাহীম ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই বিস্ফোরণে ২৫৭ জন নিহত হন। এ ছাড়া তিনি অন্যান্য সন্ত্রাসী হামলারও মূল হোতা বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অর্থ পাচারের মামলা রয়েছে। এ ছাড়া মুম্বাইয়ের অপরাধ জগতের সাবেক এই নেতার বিরুদ্ধে আল-কায়েদা ও লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে অর্থসহায়তা দেওয়ার অভিযোগ করেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, সরকার দাউদ ইব্রাহীমকে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যদিও তিনি গত বছরও ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ভারতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত মাফিয়া দাউদ ইব্রাহীমকে শিগগিরই আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।


শেয়ার করুন