সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল

দল পুনর্গঠন নিয়ে বেকায়দায় বিএনপি

1195সিটিএন ডেস্ক :

দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা খুবই দুর্বল। সর্বশেষ টানা ৯২দিন আন্দোলন করে ব্যর্থ হওয়ার পর বিষয়টি দলের হাইকমান্ডের নজরে আসে। এর পরই দল পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয় বিএনপি। গত ৯ আগস্ট কেন্দ্র থেকে চিঠি পাঠিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তৃণমূল পুনর্গঠনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এতে কেন্দ্রের প্রতি চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের।
বিএনপির জেলা নেতাদের দাবি- এতো কম সময়ের মধ্যে দল পুনর্গঠন সম্ভব নয়। তাছাড়া বর্তমান সময়টা দল পুনর্গঠনের অনুকূলে নয় বলেও মনে করছেন বেশির ভাগ জেলা নেতা।
এসব নেতার বলছেন- বিগত দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামের জন্য মাঠে ছিলেন। তারা সরকারের হামলা-মামলার শিকার হয়ে জেলে অথবা পালাতক রয়েছেন। এখনই কমিটি করা হলে রাজপথের সৎ, পরিশ্রমী, ত্যাগী নেতারা দল থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও জেলা নেতারা দাবি করছেন- বর্তমানে সরকারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের হয়রানি এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের অত্যাচারে অনেক নেতারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সরকার সভা-সমাবেশসহ মানববন্ধনের মতো কর্মসূচিতে বাঁধা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতে নেতাকর্মীরা রাস্তায়ই বের হতে পারছে না। এ অবস্থায় নির্দ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দল পুনর্গঠন করা প্রায় অসম্ভব।
এদিকে কেন্দ্র থেকে দল পুনর্গঠন করার চিঠি দেয়া পর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের গতিবিধির প্রতি আলাদা নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। দল পুনর্গঠনে নেমে নানান প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন তৃণমূল নেতারা। যা ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে বিএনপির এক সিনিয়র নেতা জানান, তৃণমূল নেতাদের দল পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা সে অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে অনেক জেলায় দল পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন নেতাকর্মীরা। সে বিষয়ে তারা আমাদের অবহিত করেছেন। এসব বিষয় বিবেচনা করে দল পুনর্গঠনের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা কিছুটা হলেও শিথিল করা হবে। তবে সরকার ও তার দলের পক্ষ থেকে যতই বাঁধা আসুক তা মোকাবেলা করে বিএনপি এগিয়ে যাবে।
সূত্রটি আরও জানায়, তৃণমূল পুনর্গঠনের সমস্ত প্রক্রিয়া কেন্দ্র থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। যেখানে সমস্যা হচ্ছে, সেখানে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এবার দল পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে সৎ, নীতি ও আদর্শবান এবং দলের ত্যাগী নেতাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিবেন খালেদা জিয়া। অন্যদিকে যারা দল ছুট নেতা এবং বিগত দিনে রাজপথে ছিলেন না তাদের ব্যাপারে কোন প্রকার সহানুভূতি দেখানো হবে না বলেও সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. মাহবুবুর রহমান বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেন, দল পুনর্গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমানে সারাদেশে দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলছে। কোথাও কোথাও থেকে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ আসছে। সব বাঁধা উপেক্ষা করে বিএনপি এগিয়ে যাবে। দল পুনর্গঠন করে গণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপি আবারও আন্দোলনে নামবে।


শেয়ার করুন