দরিয়ানগরে সম্বর্ধনায় ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি

Cox Veterinary University VC- 03.10.15-3বার্তা পরিবেশক :
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেছেন, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্সবাজার ক্যাম্পাস সমুদ্রনগরীর শিক্ষাদীক্ষায় নব দিগন্তের উম্মোচন করবে। এখানে স্থানীয়দের চাকরীর সুযোগ থাকবে। এছাড়া আশেপাশের অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। এতে এলাকাবাসীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশপাশি সামাজিক মর্যাদাও বৃদ্ধি পাবে।
শনিবার সকালে এই ক্যাম্পাসের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনে আসলে এলাকাবাসী আয়োজিত এক সম্বর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন- মানুষ আন্দোলন করেও এত সহজে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী আদায় করতে পারে না। অথচ কক্সবাজারে একটি বহি: ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করে বর্তমান সরকার আশাতিরিক্ত কাজ করেছে।
এই ক্যাম্পাসটিই একদিন পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেবে বলে আশা করেন তিনি।
স্থানীয় আশ্রায়ণ প্রকল্প ও সমাজ কমিটির সভাপতি মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে ও স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক আহমদ গিয়াসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নুরুল আবছার খান, প্যাথলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কল্যাণ বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং কক্সবাজারের বিশিষ্ট সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ। আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মোহাম্মদ ইসমাইল, যুবনেতা আবুল কালাম ও ইমান হোসেন প্রমূখ।
এরআগে সকাল ১০টায় উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ দরিয়ানগর বড়ছড়ায় এসে পৌঁছালে সমাজ কমিটির সভাপতি মাহবুব আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বাবুলের নেতৃত্বে, আশ্রায়ণ প্রকল্পের পক্ষে সভাপতি মাহবুব ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে এবং যুব সমাজের পক্ষে ইমান হোসেন ও নুরুল আবছারের নেতৃত্বে এলাকাবাসী তাঁকে পুস্পাঞ্জলি দিয়ে বরণ করে নেন।
উল্লেখ্য, শহরতলীর দরিয়ানগর বড়ছড়া এলাকায় প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে ৫ একর জায়গার উপর গড়ে তোলা হচ্ছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ক্যাম্পাস। ২৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ক্যাম্পাসটি নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে কক্সবাজার ক্যাম্পাসটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।
তিনি জানান, এই ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষক আবাস এবং ছাত্র ও ছাত্রীদের হোস্টেল নির্মাণের জন্য সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকী অর্থও ছাড় দেয়া হবে। ইতোমধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনের সবুজ পাতায় তোলা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তা জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।
ভিসি জানান, এই ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার পেছনে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও স্থানীয় সাংসদ কমল, ভূমি সচিব শফিউল আলম, আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হোসেন এবং কক্সবাজারের চার সাংবাদিক যথাক্রমে তোফায়েল আহমদ, আবু তাহের, মোহাম্মদ আয়াছুর রহমান ও আবদুল কুদ্দুস রানা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। ভিসি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।


শেয়ার করুন