উখিয়ার

থাইংখালীর বিছিন্ন ঘটনায় চেয়ারম্যান গফুরের ব্যাখ্যা মূলক বিবৃতি

এম. আবুল কালাম আজাদ, উখিয়া :

আমি উখিয়া উপজেলাধীন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ জনগণের ভোটে দু-দুই বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী। উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালীতে সংগটিত বিচ্ছিন্ন ঘটনায় আমাকে জড়ানো অপচেষ্টা ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। নিন্মে ঘটনার ব্যাখ্যা মূলক বিবৃতি প্রদান করছি।
আমি স্থানীয় জনগণ থেকে জেনে যতটুকু অবগত হয়েছি গত বৃহস্পতিবার রাতে ইউনিয়নের থাইংখালীতে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারীদের ইয়াবা পাচার ও টাকা ভাগাভাগির ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে শামশুল আলম নামক এক ইয়াবা কারবারী আহত হন। উক্ত ঘটনায় আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। বিশেষ করে আমার প্রতিপক্ষ আলী আহমদ ও শাহদাত হোসেন জুয়েল এ ঘটনায় অতি উৎসাহীত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর সব ধরনের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে।
তারই অংশ হিসাবে উক্ত মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে আমার অর্জিত মান সম্মান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যা আমার ইউনিয়নের প্রাণ প্রিয় জনগণের কাছ থেকে বিছিন্ন করার নীল নকশা তৈরী করে মূল ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আসল ঘটনাটি হল আমার নির্বাচনী এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের আবুল ফরাজের পুত্র শামশুল আলম একজন চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী ও মাদক সেবী। সে বিভিন্ন সময় এলাকায় মাদক সেবন করে সাধারণ লোকজনকে নানা রকম হয়রানী করে আসছিল। এ বিষয়ে আমার ইউনিয়ন পরিষদে একাধিক অভিযোগও রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন করে খালি পট (ক্যান) স্টেশন মসজিদের পুকুরে ফেলে মুসল্লিদের নানা রকম হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে। তারপরও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে তাকে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ হয়নি। অথচ এখন সেই শামশুল আলমকে ব্যবহার করে আমার নির্বাচনী প্রতিদন্দ্বীরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

গত ১৮ আগস্ট শুক্রবার পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কর্তৃক থাইংখালী স্টেশনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আমার বিরুদ্ধে নানান রকম অপপ্রচার চালিয়েছেন। প্রতিবাদ সভায় শামশুল আলমকে আওয়ামীলীগের নেতা আখ্যায়িত করেছেন। কিন্ত প্রকৃত পক্ষে শামশুল আলম আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড কমিটি থেকে শুরু করে কোন কমিটিতে নেই। তার অন্যান্য ৪ ভাই আলী আহমদ, মৌলভী রশিদ আহমদ, জাফর আলম ও শাহ আলম সবাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। শুধু মাত্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য এ শামশুল আলমকে আওয়ামীলীগের নেতা বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে আমার নির্বাচনী প্রতিদন্দ্বীরা।
গত ১৮ আগস্ট শুক্রবারের প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা গঠনমূলক বক্তব্য প্রকাশ করায় আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

 


শেয়ার করুন