তরুণীকে গণধর্ষণের দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন

2015_08_21_17_13_06_yToidsX3uMcki5IcfjVrEZlk7yXguL_800xautoসিটিএন ডেস্ক :

তরুণীকে গণধর্ষণের দায়ে সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১। দণ্ডিত আসামিরা হলেন, আব্দুল মালেক, বদর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, মোক্তার হোসেন, কামাল উদ্দিন, রিয়াজুর রহমান ও শামসুদ্দিন।

সোমবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো.রেজাউল করিম এ রায় দেন।

দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে বদর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, কামাল উদ্দিন ও রিয়াজুর রহমান হাজতে আছেন। বাকিরা পলাতক। মামলায় আরেক আসামি আক্তার হোসেন বিচার শুরুর পর মারা যান।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জেসমিন আক্তার বাংলামেইলকে জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালের বিশেষ বিধান আইনের ৬ (৩) ধারায় রাষ্ট্রপক্ষে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, গণধর্ষণের শিকার তরুণীর পরিবার নগরীর চকবাজার মুন্সিপুকুর পাড় এলাকায় বসবাস করতেন। ১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর ওই তরুণী তার মা ও ছোট বোনকে নিয়ে বাসে করে নগরী থেকে সাতকানিয়ায় খালার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। বাসটি চন্দনাইশ ‌উপজেলার আরাকান সড়কের দেওয়ানহাট এলাকায় যাবার পর চালকের সহকারী রিয়াজুর রহমান যাত্রীদের জানায়, বাসটি সাতকানিয়ায় যাবেনা। এসময় যাত্রীদের নেমে যেতে জন্য বলা হয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তরুণী তার মা ও বোনকে নিয়ে দেওয়ানহাট এলাকায় আরেকটি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় বাসচালকের সহকারী রিয়াজুর রহমান কয়েকজন বন্ধুসহ এসে তাদের বাসে তুলে দেয়ার কথা বলে সামনের দিকে নিয়ে যান। এসময় তারা তিনজনকেই দেওয়ানহাটের অদূরে খাগরিয়ার ফসলের ক্ষেতে নিয়ে যায়। মা ও ছোট বোনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে তাদের সামনেই রিয়াজুরসহ মোট আটজন মিলে ভোর পর্যন্ত ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর ওই তরুণী বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আটজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত করে ১৯৯৮ সালের ১৬ জুন আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ১৮ অক্টোবর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

অভিযোপত্রে উল্লিখিত ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল রায় দেন।


শেয়ার করুন