যা ‪‎তনুর‬ বাবা-মা নিজ মুখে বল্লেন

তনু হত্যার আসল তথ্য এবার বের হয়েই গেলো!

“সোহাগী জাহান তনু” হত্যার বিচার চাই

“সোহাগী জাহান তনু” হত্যার বিচার চাই

কিছু – কিছু পত্রিকায় ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে ”’এটাই হল আসল তথ্য!! যা তনুর ‬ বাবা-মা নিজ মুখে বল্লেন!!! ২০ মার্চ রাত সোয়া ১০টা। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন কাজ সেরে সবে বাড়ি ফিরেছেন। এত রাতেও মেয়েটা ফেরেনি। কখনো এমন হয় না। ইয়ার হোসেন খুঁজতে বেরোলেন। তাঁকে বেশি দূর যেতে হয়নি। বাড়ির কাছেই কালভার্টের পাশে প্রথমে পাওয়া গেল মেয়ের এক পাটি জুতা, তারপর লাশ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর বাবা ইয়ার হোসেন মেয়ের মৃত্যুর তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন। মেয়ের লাশ উদ্ধারের বর্ণনা দেন অসহায় বাবা। ইয়ার হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী। সেদিন আমার ডিউটি ছিল বেলা দুইটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত। রাত সোয়া দশটায় সাইকেলে করে বাসায় ফিরলাম। দেখি, তনুর মা মেঝেতে মন খারাপ করে বসে আছে। বলল, মেয়ে বাসায় ফেরেনি। আমার প্রতিবেশী ক্যান্টনমেন্ট বালক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিকদার কামাল। আমি বাসা থেকে বের হয়ে আগে তাঁকে বিষয়টি জানাই। এরপর টর্চলাইট নিয়ে মেয়ের খোঁজে বের হই। বেশি দূর যাইনি। বাসার কাছেই একটি কালভার্ট আছে। আমি কালভার্টের পাশে টর্চলাইটের আলো ফেললাম। দেখি আমার মেয়ের একটি জুতা পড়ে আছে। আমি চিৎকার দিয়ে কালভার্টের পাশের নিচের অংশে নেমে যাই। আমার গলা শুনে ছোট ছেলে রুবেল বাসা থেকে বেরিয়ে আসে। ১৫ থেকে ২০ গজ দূরে ওর মোবাইলটা পড়ে ছিল। আমি খুঁজতে খুঁজতে এগোই। একটু উঁচু জায়গায় জঙ্গল ও গাছগাছালির মধ্যে তনুকে পেলাম। গাছের তলায় ওর মাথা দক্ষিণ দিকে আর পা উত্তর দিকে পড়ে আছে। মাথার নিচটা থেঁতলে গেছে। পুরো মুখে রক্ত আর আঁচড়ের দাগ। আমরা পাঁচজন মিলে ওকে সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) নিয়ে যাই।’ ইয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে দুইটা টিউশনি করত। এক দিন পর পর যেত। সাড়ে চারটার দিকে যখন বেরোত, ওর মা আনোয়ারা বেগম এগিয়ে দিত। ফেরার পথেও ওর মা কিছু দূর গিয়ে নিয়ে আসত। ওই দিন তনু ওর মাকে বলেছিল, সে একাই আসতে পারবে। এখানে থেকে আমার মেয়েটা স্কুল ও কলেজের পড়াশোনা শেষ করেছে। আমি এখানে ৩১ বছর চাকরি করি। সাত- আট বছর ধরে কোয়ার্টারে থাকি। নিরাপদ এলাকা। কারা ওকে মেরেছে? এখন এ নিয়ে কী বলব? আল্লাহ দেখেছেন। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই


শেয়ার করুন