তথ্য ও প্রযুক্তিখাতে গতি আনতে বেসিসের সুপারিশ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক:

shamimতথ্য ও প্রযুক্তিখাতে গতি আনতে  বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) বিভিন্ন সুপারিশ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্মেলন ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ ও  ‘বেসিস সফটএক্সপো’ ‍এর অভিজ্ঞতার আলোকে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি শামীম আহসান।

সুপারিশগুলো হলো- পাবলিক প্রকিউরমেন্টে বাংলাদেশি কোম্পানির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, আইটি খাতের ট্যাক্স স্থগিত করে এর সময়সীমা বাড়ানো, ই-কমার্স ভিত্তিক পণ্য ও সেবা লেনদেন ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল পলিসি দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা এবং শেয়ার মার্কেটে আইটি কোম্পানির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ‘আমাদের দেশের তৈরি সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবা বিশ্বমানের। কিন্তু বিদেশি অর্থায়নে সরকারি আইসিটি প্রকিউরমেন্ট করার ক্ষেত্রে বিদেশি দাতা সংস্থাগুলো কঠিন শর্ত জুড়ে দেয়। ফলে শর্ত মেনে দেশীয় কোম্পানিগুলো অংশগ্রহণ করতে পারে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব টাকা বিদেশে চলে যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রণোদনা হিসেবে  ১ বছর করে ট্যাক্স স্থগিতকরণে সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘ সময়ের জন্য ট্যাক্স স্থগিতকরণ দেখতে চায়। তাই এটি দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়ন করা দরকার।’

বেসিস সভাপতি জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ই-কমার্স উৎসাহিত করতে ই-কমার্স ভিত্তিক পণ্য ও সেবা লেনদেন ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা হয়। ই-কমার্সের দ্রুত প্রসারের জন্য কিছু মূসক অব্যাহতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল পলিসি দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন বিষয়ে শামীম আহসান জানান, বাংলাদেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আনার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি নিয়ে বেসিস অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন দেশে সেমিনার ও বৈঠক করেছে। সম্প্রতি সিলিকন ভ্যালির শীর্ষস্থানীয় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বাংলাদেশের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলারের ফান্ডের ঘোষণাও দিয়েছে। এখন বিনিয়োগ বাড়াতে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল পলিসিসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকারের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

শেয়ার মার্কেটে তথা আইপিওতে আইটি কোম্পানির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বেসিস সভাপতি বলেন, ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের বৈঠকে আইপিওতে দেশের আইসিটি কোম্পানিগুলো যাতে অংশগ্রহণ করতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনে ‘স্মল ক্যাপ’ গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে স্বল্প পুঁজি নিয়েই যাতে আইসিটি কোম্পানিগুলো আইপিওতে অংশ নিয়ে তাদের ব্যবসায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে পারবে।

তিনি আরো জানান, এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫ ও বেসিস সফটএক্সপো-২০১৫ কে কেন্দ্র করে যে ৫ পাঁচটি পলিসি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে বেসিস দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। এখন সেই পলিসিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে। এই পাঁচটি পলিসি বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত।


শেয়ার করুন