‘তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনায় বিএনপি’

rijvivai_ruhul_kabir_bmp_105181_3846-400x282সিটিএন ডেস্ক

দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর একটি বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলছে, যারা ওই সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল করেছে এখন ক্ষমতার লোভে তারা বড় বড় কথা বলছেন।

শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

গত বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক-এগারোর কুশীলবদের বিচারে কমিশন গঠনের যে দাবি বিভিন্ন মহল থেকে উঠেছে, সরকার তা ভেবে দেখবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর থেকে বিরাশি জেনারেল জিয়াউর রহমানের ক্যান্টনমেন্টে কসাইখানা বানানোর ঘটনা, এখানেও কমিশনের ব্যাপার আছে। সেটা সরকার বিবেচনা করবে।

তথ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের বিরোধিতা এবং তাকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে, ওই সময়ে কারা ক্যান্টনমেন্টে বদ্ধভুমি করেছিলো, কারা সৈনিক সংস্থার নামে লিফলেট ছড়িয়েছেন, একটি শৃঙ্খলা বাহিনীকে (সেনাবাহিনী) কারা পলিটিসাইজেশন (রাজনৈতিকীকরণ) করার চেষ্টা করেছিলেন, কারা সেদিন সংঘাত ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, চেষ্টা করেছিলেন জিয়াউর রহমানকে শহীদ মিনারে বক্তব্য দেওয়ার। এটি জাতি কি ভুলে গেছে?

তিনি বলেন, কারা সেদিন ভারতীয় হাইকমিশনে আক্রমণ করতে গিয়েছিলেন? যার উদ্দেশ্য ছিলো, হাইকমিশনে আক্রমণ করলে এদেশের ওপর একটি আগ্রাসন হবে এবং জিয়াউর রহমান সেখানে একটি প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে পড়বেন।

জাসদের তৎকালীন কর্মকান্ড ছিলো বর্তমান জঙ্গিবাদের অনুরূপ মডেল-মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আজকে যে জঙ্গিবাদের কথা শুনি, দেশ-বিদেশে রক্তাক্ত ঘটনা দেখছি এর অনুরূপ মডেল আমরা দেখেছি ইনুদের কর্মকান্ডে। সেটা এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। তারা দেশকে বদ্ধভুমি বানিয়েছিলো। আজকে ক্ষমতার লোভে বড় বড় কথা বলছে।

বিএনপি নেতা বলেন, এদেশের মানুষ যেদিন কমিশন বানাবে সেদিন প্রকৃত অপরাধী কারা তা বেছে বেছে কাঠগড়ায় দাড় করাবে এবং বিচার করবে। বিএনপি সব সময় এক এগারোর সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলো জানিয়ে রিজভী বলেন, এটি শুধু অগণতান্ত্রিকই নয়, একটি অসাংবিধানিক সরকার ছিলো। ওই রাজনীতিবিদদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন ধেয়ে এসেছে। খালেদা জিয়াকে কারা অন্তরীণ করা হয়েছিলো। অনেক জেষ্ঠ্য নেতাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিলো। শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়েছিলো বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে।

এখন শুনতে পাচ্ছি এক এগারোর কুশীলবদের বিচার করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোথায় মধুচন্দ্রমার ঘাটতি হলো, হানিমুন কোথায় গিয়ে ব্রেক হয়েছে, জানি না? কারণ এক এগারোর প্রধান কুশীলব মঈন-উ-আহমেদকে তো আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আব্রাহাম লিংকনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।


শেয়ার করুন