তথ্যপ্রযুক্তির উৎসব ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ ‍শুরু বুধবার

ননস্টপ বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বুধবার ঢাকায় চতুর্থবারের মতো শুরু হচ্ছে তিন দিনের তথ্যপ্রযুক্তির উৎসব ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড।

ওইদিন সকালে বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উৎসবের উদ্বোধন করবেন।

কনভেনশনে চারটি হলরুমে উৎসবে ৪০টি মন্ত্রণালয় ছাড়াও শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের ডিজিটাল কার্যক্রম তুলে ধরবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জনাইদ আহমেদ পলককে সঙ্গে নিয়ে রোববার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

ইনু জানান, মেলায় মাইক্রোসফট, ফেইসবুক, একসেন্সার, বিশ্বব্যাংক, জেডটিই, হুয়াওয়েসহ খ্যাতিমান তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৪৩ জন বিদেশি বক্তাসহ দুই শতাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন পর্বে অংশ নেবেন। মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নেবেন সাত দেশের সাত মন্ত্রী।

প্রদশর্নীতে সফটওয়্যার শোকেসিং, ই-গভর্নেন্স এক্সপোজিসন, মোবাইল ইনোভেশন, ই-কমার্স এক্সপো, স্টার্টআপ জোন ছাড়াও আইসিটি সংশ্লিষ্ট ১২টি সেমিনার, ডেভেলপমেন্ট পার্টনারস কনফারেন্স ও আইসিটি এডুকেশন সম্মেলন হবে।

এবারের আয়োজনে পাঁচ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হওয়ার আশা করে পলক জানান, তথ্যপ্রযুক্তির এই মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মেলায় ৪০০ সফটওয়্যার কোম্পানি অংশ নেবে জানিয়ে পলক বলেন, “২০টি সেমিনারে ৪০ জন বিদেশিসহ দুইশ বক্তা কথা বলবেন। আমাদের মডেল তাদের জানাব, তাদের মডেল সম্পর্কে আমরা জানব।”

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প কতটুকু গড়ে উঠেছে এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সে বিষয়ে আন্তঃযোগাযোগ হবে বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ইনু।

তিনি বলেন, “দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষের বয়স ২৫ বছরের নিচে। এদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বিশেষভাবে দক্ষ করে তুলতে হবে। এমনভাবে দক্ষ করে তুলতে হবে যেন প্রত্যেকে একেকজন উদ্যোক্তা হয়।”

যুব সমাজকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে অবকাঠামোগত সুবিধা থেকে শুরু করে সরকার বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজনে এবার নয় কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, এই খরচ কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে।

২০১২ সালে প্রথমবারের মধ্যে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজন করে সরকার। ২০১৩ সালে এই উৎসব না হলেও পরের দুই বছর তথ্যপ্রযুক্তির এই মেলা আয়োজন হয়েছে।

পলক জানান, এবারের আয়োজনে আইএফআইসি ব্যাংক প্লাটিনাম পার্টনার হিসেবে রয়েছে। আর বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ ইউমেন ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম এবং বোল্ড রয়েছে সহযোগি পার্টনার।

আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম শামীম চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন