নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ঢাকা মহানগরে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার পর নামানো হয়েছে বিজিবি।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসিন রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সহযোগিতার জন্য রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঢাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।”
এর আগে সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।
এতে বলা হয়, সোমবার ৫ জানুয়ারি পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশের কর্মসূচি থাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় বিকাল ৫টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, জমায়েত নিষিদ্ধ থাকবে।
গতবছর ৫ জানুয়ারি বিএনপি ও শরিকদের বর্জনে ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়, যাতে নির্বাচিত হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
ক্ষমতাসীন দলটি এ বছর দিনটি ‘সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’এবং বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসাবে পালনের জন্য ঢাকায় কর্মসূচি দিরে তৈরি হয় উত্তেজনা।
এরই মধ্যে শনিবার রাতে নয়া পল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে সেখানে তালা লাগিয়ে দেয় পুলিশ। ‘হঠাৎ অসুস্থ’ হয়ে পড়া বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে বিএনপি অফিস থেকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশান কার্যালয় থেকে নয়া পল্টনে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে তাকে অফিসেই রাত কাটাতে হয়।
বিপুল সংখ্যক পুলিশ তার ওই কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। বাইরে থেকে বিএনপির বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
গুলশান ২ নম্বর গোল চক্কর থেকে খালেদার কার্যালয়ের গলি পর্যন্ত রাস্তায় বসানো হয়েছে পুলিশের কড়া পাহারা। সাংবাদিক ও ইউনাইটেড হাসপাতালে রোগী ছাড়া কাওকে ওই পথে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
গুলশান এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলোও তুলে দিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের অর্ধশতাধিক কর্মীকে দুপুর থেকেই গুলশানে তাদের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে।
ওই কার্যালয়ের পাশ দিয়েই খালেদার কার্যালয়ে যাওয়ার পথ।
এদিকে পুরো শহরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই দুপুরে পল্টনে এবং বিকালে তেজগাঁওয়ে দুটি বাসে আগুন দেওয়ার খবর জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।