ডিসেম্বরেই ট্যুরিষ্ট পুলিশের যাত্রা টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে

Cox'sBazar Picture 12.09.2015

:: আনছার হোসেন ::

এখন সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে সৈকতের ইনানী পয়েন্ট পর্যন্ত কাজ করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। আগামি ডিসেম্বরের মধ্যে কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ ও দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ট্যুরিষ্ট পুলিশ তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।
এমন তথ্যই জানালেন ট্যুরিষ্ট পুলিশের চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মুহাম্মদ মুসলিম।
তিনি জানান, আগামি ঈদুল আযহার আগেই ট্যুরিষ্ট পুলিশের অবজারভেশন টাওয়ার চালু করা হবে। এছাড়াও সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ট্যুরিষ্ট পুলিশের কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। চালু করা হচ্ছে হটলাইন নাম্বারও। এছাড়াও কলাতলী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট ও সৈকতের লাবণী পয়েন্ট এবং দরিয়ানগর, হিমছড়ি ও ইনানী পর্যন্ত বিশেষ জোনে ভাগ করে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করা হবে।
মুহাম্মদ মুসলিম দাবি করেন, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বিশেষায়িত বাহিনী ট্যুরিষ্ট পুলিশের যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে পর্যটকদের সেবা দেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি মনে করেন, ট্যুরিষ্ট পুলিশ সদস্যরা ‘মনেপ্রাণে কাজ করতে চাচ্ছেন’।
তিনি শনিবার দুপুরে কক্সবাজারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেছেন।
মুহাম্মদ মুসলিম বলেন, ‘এবারের ঈদুল আযহা থেকে ট্যুরিষ্ট পুলিশ নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে সশস্ত্র অবস্থায় দায়িত্ব পালন করবেন। তবে পুলিশ সদস্যরা ছোট অস্ত্র ব্যবহার করবেন এবং যতটা সম্ভব অস্ত্র প্রদর্শন থেকে বিরত থাকবেন।’
সম্প্রতি ছিনতাইকারিদের হাত থেকে এক পর্যটককে রক্ষা করতে গিয়ে ছিনতাইকারিদের ছুরিকাঘাতে ট্যুরিষ্ট পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর পর অপ্রীতিকর ঘটনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে ট্যুরিষ্ট পুলিশের চট্টগ্রাম জোনের সর্বোচ্চ এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্যুরিষ্ট পুলিশ হত্যায় জড়িত সবাই কারাগারে রয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দিও দিয়েছে। এখন মামলাটি চার্জশিট হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে।’
তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওই অপ্রীতিকর ঘটনার পর পুলিশের মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারকে ৭ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও ৫ লাখ টাকা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও ট্যুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বড় অংকের সহায়তা দেয়া হয়েছে এবং পুলিশের সবধরণের সুবিধাও ওই পরিবারটি পাবে।
অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মুহাম্মদ মুসলিম মনে করেন, ‘কিছু দুষ্টু’ পুলিশ সদস্য ট্যুরিষ্ট পুলিশেও ডুকে পড়েছে। এই ‘দুষ্টু’ সদস্যদের চিহ্নিত করা গেলে তাদের এক মিনিটও কক্সবাজার রাখা হবে না।
ওই মতবিনিময়ে ট্যুরিষ্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঈদুল আযহার মৌসুমে পোষাকধারি পুলিশের পাশাপাশি ছদ্মবেশি পুলিশ সদস্যরাও কাজ করবেন।’
তিনি মনে করেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ট্যুরিষ্ট পুলিশ জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে।’
ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিষ্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের দুই সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান রায়হান কাজেমী ও মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। এছাড়াও সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস রানা, অনলাইন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (ওরাক) সভাপতি আনছার হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদ, কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি রাসেল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শফি উল্লাহ শফিও উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন