ডায়েটের উদ্দেশ্যে রোজা জায়েজ কি?

573430543-400x250সিটিএন ডেস্ক:

চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে রোজা স্বাস্থ্যবান্ধব।রোজা রাখায় রয়েছে সুস্থতা ও নিরোগ জীবনের নিশ্চয়তা। মানবজীবনের সামাজিক ও দৈহিক উপকারে সিয়াম সাধনা বা রোজার অবদান অপরিসীম।
রোজার স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানেও বলা হয়েছে। অনেক রোগ জীবানু প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও রোজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের উপকারিতা ও ডাইট কন্ট্রোলের উদ্দেশ্যে রোজা রাখা জায়েয কিনা? ইসলাম পার্থিব উপকারিতার উদ্দেশ্যে রোজা রাখা সমর্থন করে কিনা বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখা উচিত।
যে কোনো কাজের আগে নিয়ত শর্ত। নিয়ত বিশুদ্ধ না হলে ইবাদতও বিশুদ্ধ হবে না। রাসূল সা. বলেন, ‘নিশ্চয় আমলের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল’। (মুসলিম, বুখারি)। অর্থাৎ নিয়ত শুদ্ধ হলেই আমল শুদ্ধ হবে।
হাদিসটিতে নিয়তের গুরুত্ব ও আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। মুসলমানদের প্রত্যেকটি কাজে নিয়তের বিশুদ্ধতা থাকা অত্যাবশ্যক। প্রতিটি কর্ম আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সা. এর সন্তষ্টি অর্জনের জন্যই করা উচিত। আল্লাহ ও তার রাসুল সা. এর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোনো কিছু করার নামই হল নিয়ত বিশুদ্ধ করা। কোন কাজে বিশুদ্ধ নিয়ত না থাকলে সে কাজ আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই আল্লাহর নিকট কোন কাজের পুরস্কার পেতে হলে প্রত্যেকটি কাজে নিয়তের বিশুদ্ধতা থাকা অপরিহার্য। আল্লাহ তায়ালা কাজের সাথে বান্দার অন্তরের অবস্থাও দেখতে চান। বিশুদ্ধ নিয়ত প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর তাদেরকে হুকুম করা হয়েছে যে, তারা যেন একনিষ্ঠ হয়ে আন্তরিকভাবে আল্লাহর দীন পালনের মাধ্যমে একমাত্র তাঁরই ইবাদ করে’। (সূরা আল-ইমরান: ২৯)।
উপরিল্লিত আয়াত ও হাদিসের মাধ্যমে বোঝে আসে আল্লাহর নিকট শুধুমাত্র শারিরিক উপকারিতা ও ডাইট কন্ট্রোলের উদ্দেশ্যে রোজা বৈধ নয়। ইবাদত হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে। তবে ইসলামের প্রতিটি ইবাদতের মাধ্যমে মানুষের আত্মিক ও শারিরিক উপকারিতা রয়েছে। তবে বিষয়টি গৌণ। এ গৌণ বিষয়কে উদ্দেশ্য করে রোজা রাখা ইসলামে আদৌ জায়েয নয়। ইবাদতের উদ্দেশ্যে রোজা রাখায় ইসলামে এর প্রতিদান রয়েছে তবে শারিরিক উপকারিতার উদ্দেশ্যে রোজা রেখে প্রতিদানের আশা করা কাম্য নয়।


শেয়ার করুন