ডালাসে বন্দুকধারীর গুলিতে ৪ পুলিশ খুন

2016_07_08_10_52_36_MtKuhigTWdJpuQuG5JVRD9cl7bCbXT_originalআন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে দুই কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর পর ডালাস শহরে বিক্ষোভের মধ্যে ৪ পুলিশ সদস্যকে স্নাইপার রাইফেলের গুলিতে হত্যা করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ৭ পুলিশ কর্মকর্তা।

দুই কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যার প্রতিবাদে শহরে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাতে বিক্ষোভের সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের উপর এ গুলি ছোড়া হয়। স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

ডালাসের পুলিশ প্রধান ডেভিড ব্রাউন বলেছেন, বিক্ষোভ চলাকালে দুই স্নাইপার্স একটি উঁচু স্থান থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

লুসিয়ানা রাজ্যে গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ব্যাটন র‌্যাগ শহরে একটি দোকানের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় আফ্রিকান আমেরিকান এল্টন স্টারলিং।

পরদিন বুধবার (৬ জুলাই) লুসিয়ানা রাজ্যে আরেক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ফিলান্ডো ক্যাসটাইলকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সম্ভাব্য হামলাকারী সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে আটক আটক করেছে পুলিশ। পুরো এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আশপাশের এলাকায় চলছে ব্যাপক তল্লাশি।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় পৌনে ৯টার দিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুই কৃষ্ণাঙ্গ খুনের প্রতিবাদে ডালাসের কেন্দ্রস্থলে জড়ো হচ্ছে শত শত মানুষ। এ সময় আকস্মিকভাবে গুলি শুরু হলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আতঙ্কিত লোকজন দৌড়ে এদিক-দিক ছুটতে থাকে।

দুই কৃষ্ণাঙ্গ খুনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে আমেরিকার বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্গুসন, মিসৌরি, বাল্টিমোর ও নিউ ইয়র্কে গত দুই বছরে শেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুর ঘটনা ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। গুলি করে পুলিশ হত্যার এ ঘটনাকে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করা হচ্ছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সর্বশেষ ক্যাস্টিলকে হত্যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর এখন পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে ৫০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ১২৩ জন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান।

মিনিসোটায় ফিলান্ডো ক্যাস্টিল হত্যার ভিডিও দেখে রাজ্যের গভর্নর মার্ক ডেটন বলেছেন, গাড়ির চালক ও আরোহী যদি শেতাঙ্গ হত, তা হলে এ ঘটনা ঘটত বলে মনে হয় না।

এদিকে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ওয়ারসতে আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, এটা কৃষ্ণাঙ্গ কিংবা হিসপানিক ইস্যু নয়। বলেন, এটা আমেরিকান ইস্যু এবং এ নিয়ে আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।


শেয়ার করুন