টেকনাফে সহিংসতা অব্যাহত : নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩

45f2a344-cc7d-46bf-b05b-af0d2694f03eআমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ:
টেকনাফের ৪ ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আরও ১জন নিহত ও ১৮ জনের অধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহত যুবক হচ্ছে সাবরাং মন্ডলপাড়ার আবদুস সালামের ছেলে মুনির (২৮)। ২৩ মার্চ সকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করেছে। এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্য্ াদাড়ালো ৩ জনে। ২২ মার্চ ফলাফল ঘোষনাকে কেন্দ্র করে সাবরাং ইউনিয়নের ১ নং ও ৭ নং ওয়ার্ডে পৃথক এ ঘটনা ঘটেছিল।
এদিকে সাবরাংয়ের ৪ নং ওয়ার্ডের সিকদারপাড়ায় ২৩ মার্চ দুপুরে মেম্বার প্রার্থী শব্বির আহমদ পরাজিত হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে তার সমর্থকদের নিয়ে বেপরোয়া ভাবে বিপক্ষদলের সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানান, শবিবর আহমদের সমর্থক আবদুর রহিম পুক্কু পর পর ২ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। প্রকাশ্যে গুলি বর্ষনের ঘটনায় পুরো সিকদার পাড়ার লোকজন ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েন। এতে সিকদার পাড়ার মৃত অলি আহমদের ছেলে মুছা আলী (৭৫) ও মৃত কুব্বাছ মিয়ার ছেলে নুর আহমদ (৪৫) গুলিবিদ্ধ হন। তাদেরকে টেকনাফ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, বৃদ্ধ মুছা আলী দুপুরে মসজিদে যাওয়ার পথে শব্বিরের ভাই কবির আহমদের সাথে ভোট দেয়া না দেয়া বিষয়ে বাক বিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে তা সংঘর্ষে পরিণত হয়। বর্তমানে উক্ত এলাকায় আতংক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারন এলাকাবাসী সওদাপাতি করার জন্য বাজারে যেতে ভয় পাচ্ছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের শীলখালী এলাকায় বিজিত প্রার্থী হাফেজ আহমদ ও পরাজিত প্রার্থী আখতার হোছাইনের মধ্যে দুপুর ২ টায় ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৫ জন আহত হয়। এরা হচ্ছে কালামিয়ার ছেলে মাহফুজুর রহমান (৪০), মোখতার আহমদ (৭০), মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩০), মোখতার আহমদের পুত্র আজিজুল হক (৪০) ও হুমায়ুন কাদের (২৪)। আহতদের টেকনাফ হাসাপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বিজিত প্রার্থী মোঃ ইলিয়াছ ও পরাজিত প্রার্থী আমির হোছন সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জন আহত হয়। আহতরা হচ্ছে নোয়াখালী পাড়ার মৃত ফজল হকের ছেলে ছৈয়দুল হক (৭২), মমতাজ আহমদের ছেলে আয়াতুল তানজিদ (১৯), ফরিদ আলমের ছেলে মোঃ রুবেল (১৮)। আবদুল কাশের ছেলে আলী হোছেন (২৪), মোঃ ইসলামের ছেলে বশির আহমদ(লেডু) (২৪) সোলতান আহমদের ছেলে মোহাম্মদ মিয়া (৩০)। আহতদের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তবে এব্যাপারে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।


শেয়ার করুন