টেকনাফে পৃথক সড়ক দূঘর্টনায় নিহত ১ : আহত ৪

টেকনাফে প্রধান সড়ক ও আভ্যন্তরীণ সড়কের পৃথক সড়ক দূঘটনায় এক মাদ্রাসা ছাত্র নিহত এবং ৪জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়,১৫জুলাই দুপুর দেড়টারদিকে উপজেলার হোয়াইক্যং কেরুনতলী পয়েন্টে টেকনাফ হতে পালংখালীমুখী দু‘টি ডাম্পার এবং পালংখালী হতে উলুবনিয়াগামী মোটর সাইকেল অসাবধানতাবশ মুখোমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কাটাখালী রওজতুন্নবী (সঃ) মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর দুই ছাত্র, মাদ্রাসার স্টুডেন্ট কেবিনেট সভাপতি,পালংখালী বাজারের রশিদ আহমদ সওদাগরের পুত্র হাফেজ মোহাম্মদ সেলিমুর রশিদ (১৫) এবং পালংখালী বটতলী আঞ্জুমানপাড়ার আব্দুস সালামের পুত্র,স্টুডেন্ট কেবিনের সহসভাপতি হাফেজ মোঃ তারেক (১৬) গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত হন। উপস্থিত লোকজন রক্তাক্ত মাদ্রাসা ছাত্রদের উদ্ধার করতে গেলে ঘাতক ডাম্পার দু‘টি পালিয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে মোটর সাইকেল ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে চালক হাফেজ সেলিমুরের মৃত্যু ঘটে। আহত অপর ছাত্র তারেককে দ্রুত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। তার অবস্থাও গুরুতর। তারা মাদ্রাসার মধ্যবিরতির সময় বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে মোটর সাইকেলযোগে মাদ্রাসায় ফিরছিল। তাদের মৃত্যু সংবাদ শুনে নিহতের মা-বাবা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এদিকে ঘাতক দু‘টি ডাম্পারের মধ্যে একটি গা ঢাকা দিলেও অপরটি পালংখালী বাজারে রয়েছে বলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ সিকদার জানান। তিনি লোমহর্ষক এই ঘটনায় নিহত মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ মোহাম্মদ সেলিমুর রশিদের আতœার শান্তি কামনা করে শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়া তিনি টেকনাফ সড়ক থেকে প্রশিক্ষণবিহীন লাইসেন্স ছাড়া আনাড়ী চালকদের দৌরাতœ কমলে দূঘর্টনা কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিকাল ৪টারদিকে হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এই ঘটনার পর পরই উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী,অভিভাবকসহ এলাকাবাসীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

অপরদিকে বিকাল পৌনে ২টায় উপজেলার দক্ষিণ লেদা পৈত্রিক বাড়ি হতে স্বামী বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় সাবরাং মুন্ডার ডেইলের সরওয়ার কামালের স্ত্রী আয়েশা বেগম (২৭),মেয়ে তাসনোভা সরওয়ার ঈশা (৭) ও ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৫)টেকনাফ ষ্টেশন হতে টমটমযোগে মহেশখালীয়া পাড়া হয়ে মুন্ডার ডেইল যাওয়ার পথে টেকনাফ সদর ইউপি কমপ্লেক্স ভবনের সামনে পৌঁছলে অপর একটি টমটম পেছন থেকে ধাঁক্কা দিলে উল্টে পাশ্ববর্তী বিলে পড়ে যায়। এতে গাড়িতে থাকা উপরোক্ত আহত ও রক্তাক্ত হলে দ্রুত উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুই শিশুকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাম হাতের কনুইর হাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ধাক্কা দেওয়া টমটমটি জব্দ করে রেখেছে স্থানীয় জনসাধারণ।


শেয়ার করুন