আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ॥
বৈশাখের তীব্রতাপদাহে অতিষ্ঠ টেকনাফবাসীর জন-জীবনে অবশেষে গভীর রাতে কাল বৈশাখী হানা দিয়েছে। এসময় প্রচন্ড বেগে বাতাস ও অল্প সময়ের বৃষ্টিতে স্বস্থি এলেও জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বজ্রপাতে নিহত হয়েছে দুই জন।
বিধ্বস্থ হয়েছে কাঁচা ঘর-বাড়ি, উপড়ে গেছে গাছপালা ও বাড়ীর ঘেরা বেড়া। ভেসে গেছে লবণ মাঠ। ব্যহত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা।
১ মে দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে টেকনাফের উত্তর-পশ্চিম আকাশে হঠাৎ কালো মেঘ, বজ্রপাতের গর্জন এবং প্রবল ধমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। গরমে অতিষ্ট লোকজন অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে স্বস্থি ফিরে আনে। এসময় বাতাসের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কাঁচা ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঘেরা-বেড়া, গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বজ্রপাতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী গ্রামের আব্দুল গফুরের পুত্র রবিউল হাসান (১৯) নিহত হয়েছে। এছাড়া টেকনাফের উত্তর জালিয়াপাড়ার মৃত ওমর মিয়ার পুত্র সিরাজ (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহতের স্ত্রী জায়তুন নাহার জানান, রবিবার দিবাগত রাতে নাফ নদীতে মাছ শিকারে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়। পরে ২ মে সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে একটি চিংড়ি ঘেরে তার মৃত দেহ পাওয়া যায়। সে ধারনা করছেন বজ্রপাতে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। প্রায় পৌনে ঘন্টাব্যাপী প্রবল বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ পৌর এলাকা, সদর, বাহারছড়া, সাবরাং-শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনে কাঁচা ঘর-বাড়ি ও দোকান পাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সদর ইউনিয়নের লম্বরী ঘাটে একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় এখনো নিখোঁজ ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া হাজার হাজার একর লবণের মাঠ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যহত হলেও দুপুরের দিকে তা সচল করা হয়েছে।