মার্কিন হত্যাকারী টেকনাফের হামজালাল ইয়াবাসহ লোহাগাড়ায় গ্রেফতার

hamjalal-চীফ রিপোর্টার, সিটিএন:

টেকনাফের বহুল আলোচিত ইয়াবা মাফিয়া ও আলোচিত মার্কিন হত্যাসহ তিনটি খুনের মামলার পলাতক আসামী হামজালাল অবশেষে পুলিশের জালে আটকা পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে ২হাজার ইয়াবাসহ চট্টগ্রামের চুনতি থেকে লোহাগড়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহাজাহান  । গ্রেফতারকৃত হামজালাল টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং মানবপাচারকারী।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহাজাহান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনতি থেকে হামজালালকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমাকে তাকে লোহাগড়া থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
হামজালাল ইউপি সদস্য ও সরকার দলীয় নেতা পরিচয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচার করে আসছে। তার ভাই বাহাদুরসহ একটি বিশাল সিন্ডিকেট নিয়ে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা ইয়াবা পাচার করে আসছিল। ইয়াবা পাচার করে হামজালাল অঢেল টাকার মালিক হয়েছেন। কালো টাকা দিয়ে তিনি কিনেছে অন্তত ১০টি মতো নোহা গাড়ি। এইসব নোহা দিয়ে ইয়াবা পাচার করে আসছিল।

শুধু ইয়াবা পাচার নয়; হত্যা, মানবপাচার, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, জবর-দখলসহ আরো অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। হামজালালের ভূমিদস্যুতায় বাধা দেয়ায় গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর দিন দুপুরে আজিজুল হক মার্কিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই হত্যাকা-ে তার সাথে ছিল হামজালালের বোনজামাই ছিদ্দিক, ছিদ্দিকের পুত্র ফরিদ আলমসহ আরো চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এর আগে ‘হামজালালের মামলার চার্জসীট থেকে বাদ যাওয়ার চেষ্টা উড়িয়ে দেয়া যাবে না। সে আগে শুক্কুর হত্যা ও আবুল হোসেন নামে আরো দু’জনকে হত্যা করে হামজালালের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। সর্বশেষ মার্কিন হত্যার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিল হামজালাল। কিন্তু প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা পাচারসহ সব কালো ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে গ্রেফতার হয়েছে হামজালাল। তার গ্রেফতারের খবর টেকনাফে ছড়িয়ে এলাকায় আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
.


শেয়ার করুন