১০:০২ পূর্বাহ্ণ 
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক:
মোবাইল অপারেটরদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়ায় সোমবার ৩০ মে নিলামে অংশ নিতে অপারগতা প্রকাশের কারণে টু-জি (১৮০০ মেগাহার্জ) ও থ্রি-জি (২১০০ মেগাহার্জ) তরঙ্গ (স্প্রেক্ট্রাম) নিলামের সময় ২০ দিন বাড়ানো হয়েছে।
রোববার নিলামের পরিবর্তিত সময়সূচির আদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নতুন সময় অনুযায়ী নিলাম ৩০ এপ্রিলের পরিবর্তে ২০ মে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশে বর্তমানে ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজের মাধ্যমে থ্রিজি সেবা দিতে পারে অপারেটররা। টুজি সেবা দিচ্ছে ৯০০ ও ১৮০০ মেগাহার্টজে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী আবেদন দাখিলের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ এপ্রিল। যোগ্য আবেদনকারীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২১ এপ্রিল। নিলাম প্রক্রিয়ার পরামর্শের তারিখ ২৬ এপ্রিল। বিড আর্নেস্ট মানি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১২ মে। অংশগ্রহণকারীদের আবেদন গ্রহণ বা বাতিলের শেষ দিন ১৪ মে। মক অকশন (পরীক্ষামূলক নিলাম) ১৯ মে। নিলাম অনুষ্ঠিত হবে ২০ মে, একই দিন বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্টজের জন্য নিলামের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ কোটি মার্কিন ডলার বা ২৩২ কোটি টাকা। ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ১৭০ কোটি টাকা। ১৮০০ মেগাহার্টজে ব্যান্ডে ১০ দশমিক ৬ ও ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ১৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ অব্যবহƒত রয়েছে। এ তরঙ্গের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, মোবাইল কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণ সাপেক্ষে নিলামে অংশ নেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে চিঠি পাঠায় ১ মার্চ। অপারেটরদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সিমকার্ড প্রতিস্থাপন কর সংক্রান্ত মামলার সমাধান, নিলামে বিক্রি হওয়া তরঙ্গমূল্যের ওপর ধার্য করা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার, বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধন, তরঙ্গ ব্যবহারে স্বাধীনতা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয়। ওই চিঠিতে সই করেন গ্রামীণফোনের পক্ষে টেলিনরের প্রেসিডেন্ট ও গ্র“প প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জন ফ্রেডরিক বাকসাস, বাংলালিংকের পক্ষে ভিম্পেলকমের সিইও জো লানডার, রবি আজিয়াটা গ্র“প বারহাদের প্রেসিডেন্ট ও গ্র“প সিইও দাতো শ্রি জামালউদ্দিন ইব্রাহিম, এয়ারটেল বাংলাদেশের পক্ষে ভারতী এয়ারটেলের চেয়ারম্যান সুনীল মিত্তাল।
অমীমাংসিত দাবি-দাওয়া নিয়ে গত ১৮ মার্চ মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) সঙ্গে বৈঠক করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস। ওই বৈঠকেও অপারেটররা দাবিগুলো পূরণে চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানান। দাবি পুরণ না হলে তারা নিলামে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছিলেন।
