টার্গেট আরো এক ডজন সন্ত্রাসী

3_141508শাহেদ ইমরান মিজান, সিটিএন:
নিহত হয়েছেন সিফাত ও তার ভাই আরফাত। ক্রসফায়ারের ভয়ে কারাগারেই রয়ে গেছে রকি বাহিনী প্রধান রকি ও হাসনাত বাহিনী প্রধান হাসনাত। এ নিয়ে কক্সবাজার শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একটি অংশ আঁড়ালে পড়ে গেছে। তবে এখনো সন্ত্রাস মুক্ত হয়নি পর্যটন শহর কক্সবাজার। এখনো অধরা রয়েছে আরো অর্ধডজনের বেশি দাগী সন্ত্রাসী। তারা এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শহর।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের পাহাড়ি এলাকা কেন্দ্রিক এক ডজনের মতো সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব চালিয়ে আসছে। এই তালিকায় রয়েছে রকি বাহিনীর প্রধান রকি, হাসনাত বাহিনী প্রধান হাসনাত, জাকির মোস্তফা, নুরু বাহিনী প্রধান নুরু, সিফাত বাহিনী প্রধান সিফাত, তার ভাই আরফাত, বশর বাহিনী প্রধান বশর, মুজিব বাহিনী মুজিব, খুরশেদ বাহিনী প্রধান খোরশেদ, পুতু বাহিনী প্রধান পুতু, সৌরভ বাহিনী সৌরভ, সালাহউদ্দিন বাহিনী প্রধান সালা উদ্দীন তার ভাই আলা উদ্দীন, জসিম উদ্দীন, রফিক বাহিনী প্রধান রফিক, জাহাঙ্গীর আজাদ, রমজান, রানা । তাদের বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে দু’শতাধিক দাগি সন্ত্রাসী রয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া, বৈদ্যঘোনা, বাদশাঘোনা, ফাতেরঘোনা, খাজা মঞ্জিল, ইসলামপুর, পাহাড়তলী, বাঁচামিয়ারঘোনা, আবু উকিলের ঘোনা, ইসুলুঘোনা, সমিতিবাজার, দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া, সাহিত্যিকাপল্লী, লারপাড়া, আমতলী, জেলখানার পেছনের এলাকা, সবুজ সওদাগরের ঘোনা, গয়ামতলী, লাইটহাউজ পাড়া, রহমতপুর, জেলা কারাগার এলাকা সহ শহরের অর্ধেক এলাকার নিয়ন্ত্রন এসব সন্ত্রাসীর হাতে। এর মধ্যে নিজের গড়া সিফাত বাহিনীর হাতে নৃশংস কায়দায় খুন হয়েছেন জাকির মোস্তফা, নিহত হয়েছেন সালাহ উদ্দীনের ভাই আলা উদ্দীন ও জসীম উদ্দীন, সর্বশেষ নিহত হয়েছেন সিফাত ও তার ভাই আরফাত। অন্যদিকে ক্রসফায়ারে ভয়ে আত্মসমর্পণ করে দু’বছর ধরে কারাগারে রয়েছে রকি, একই ভাবে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ক্রসফায়ার ভয়ে কারাগারেই থেকে গেছে হাসনাত, সালাহউদ্দিনও গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে, কারাগারে রয়েছে পুতুও। কিন্তু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে আরো একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে অল্পদিন জেল কেটে জামিনে রয়েছে সৌরভ। বতর্মানে রাজত্ব বহাল রেখেছে বশর, মুজিব, খোরশেদ, রফিক, জাহাঙ্গীর আজাদ (প্রকাশ্যে), রমজান, প্রধান রানাসহ এক ডজন সন্ত্রাসী।
সচেতন মহল মনে করছেন, শহর দাপিয়ে বেড়ানো এই এক ডজন সন্ত্রাসীর পতন হলেই কক্স¦াজার শহর অন্তত সন্ত্রাসমুক্ত হবে।


শেয়ার করুন