টাকা নিয়ে ফলাফল উল্টে দিলো প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এমরান কবীর !

Amran Kabirবিশেষ প্রতিবেদক : গতকাল শনিবার রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের নির্বাচনে ৩ নং ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যপক অনিয়ম ও টাকার বিনিময়ে ফলাফল উল্টে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেন্দ্রে একক আধিপত্ব বিস্তার,  প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া, দেরি করে ভোট গণনা শুরু করা, এজেন্টেদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান কবীরের বিরুদ্ধে।
ভোটার ও এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে পরাজিত প্রার্থীকে জয়ী করে দিয়েছেন এই অসাধু কর্মকর্তা। ভোট গণনা শেষে এই নিয়ে ঈদগড় এলাকায় ব্যপক উত্তেজনা তৈরীসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনার বলে জানা গেছে।
ঈদগড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার প্রার্থী (আপেল) আব্দুস সালাম অভিযোগ করে বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার এমরান কবীর আমার কাছে বিজয়ী করে দেবে বলে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন। এলাকায় আমার ব্যপক জনপ্রিয়তা থাকার কারনে আমি তার দাবিতে রাজি হয়নি। একারনে তিনি আমার ভোট কারচুপি করে অন্যজনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। তিনি আরো বলেন, আমার এজেন্টদের দেয়া তথ্য মতে আমি ভোট পেয়েছি ৫৪৭, অথচ ঘোষণা করা হয়েছে ১৯১ ভোট। তার আরো একটি অভিযোগ হল এই কর্মকর্তা ভোট গণণার সময় বিভিন্ন অভিযোগে আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে মারধর করে বের করে দিয়েছেন।
একই ওয়ার্ডে মোরগ প্রতীক নিয়ে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আবুল কালাম। তিনি বলেন, “এজেন্টেদের সূত্রমতে আমি ভোট পেয়েছি ৫৭২ কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার ১লক্ষ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমার ৫৩৭ ভোট দেখিয়ে ফুটবল প্রতীকের সৈয়দুল ইসলামকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
এদিকে ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান কবীরের বিরুদ্ধে আগে থেকেই এমন বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়ায় কিছু গনমাধ্যমকর্মী উক্ত কেন্দ্রে সংবাদ সংগ্রহে গেলে তাদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা এবং অসহযোগীতা করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ এমরান কবীরের সাথে এসব বিষয়ে কথা বললে তিনি কোন কথা বলতে রাজি না হয়ে উপজেলাতে গিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করতে বলেন।


শেয়ার করুন