টাইগারদের দাপটে কেঁপেছে ক্রিকেটবিশ্ব

ctnসিটিএন ডেস্ক:

ক্রিকেটে একটি সফল বছর পার করেছে বাংলাদেশ। বছরজুড়ে টাইগারদের দাপটে কেঁপেছে ক্রিকেটবিশ্ব। ওডিআই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো স্বপ্নের কোয়ার্টারফাইনাল, ঘরের মাটিতে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ জয়। ২০১৬ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত, আইসিসি ওডিআই র‌্যাঙ্কিংয়ে সপ্তম স্থানে উঠে আসাÑ সব সাফল্য পেয়েছে এ বছরটিতেই। ২০১৫ সালটা ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশর জন্য এক বড় প্রাপ্তির বছর। এককথায় ২০১৫ সালটি মাশরাফি বাহিনীর স্বপ্নের মতো কেটেছে। সঙ্গত কারণেই ২০১৫ সালটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে বাঁধাই করা থাকবে।

টাইগারদের এই স্বপ্নযাত্রার শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের শেষের দিকে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে ওডিআই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার মধ্য দিয়ে। এরপর ২০১৫ বিশ্বকাপে আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে জায়গা করে নেয় কোয়ার্টারফাইনালে। কিন্তু সেখানে ভাগ্যদেবী মুখ তুলে তাকায়নি টাইগারদের দিকে। বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের কারণে সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ হয় মাশরাফি বাহিনীর।

তবে বিশ্বকাপের পর ঘরের মাটিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। এরপর একের পর এক জয় ছিনিয়ে আনে টাইগাররা। পাকিস্তানের পর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ জয় ক্রিকেটবিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচয় দেয়। সর্বশেষ নিজেদের মাঠে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে বছর শেষ করে মাশরাফি বাহিনী। এদিকে, জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর শুরু হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে জমজমাট ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসর। এখানেও ফর্মে ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। বিপিএলের এবারের আসমেরর মধ্য দিয়ে আবু হায়দার রনির মতো বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারও উঠে এসেছেন, যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন।

২০১৫ সালটি খেলার মধ্য দিয়ে কেটেছে টাইগারদের। বছরজুড়ে টাইগারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স শুধু ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রণোদনাই যোগায়নি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুনামও কুড়িয়েছে। ধারাবাহিক সাফল্যের ফলে ২০১৫ সালে ওয়ানডেতে ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মত দলকে টপকে সফল দলের তালিকায় এশিয়ায় শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ১৮ ম্যাচ খেলে ১৩ ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে। জয়ের হার শতকরা ৭২ শতাংশ। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত ২৩ ম্যাচের ১৩টি জয় পেয়েছে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে ২২ ম্যাচে ১১টি ও ২৭ ম্যাচে ১২টিতে জয় পেয়েছে।

বিশ্বক্রিকেটে বাংলাদেশের এখন আর পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই। কারণ, দলে রয়েছে সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, মাশরাফি বিন মুর্তজার মতো ক্রিকেটের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মুস্তাফিজ-তাসকিনদের মতো উদীয়মান ক্রিকেটার। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ। এরপরই ভারতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এখানেও টাইগাররা তাদের বর্তমান পারফরম্যান্স ধরে রাখবে। মাশরাফি-সাকিব-মুস্তাফিজদের হাত ধরে আসবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের ট্রফি। সেই অপেক্ষায় কোটি কোটি টাইগারপ্রেমী।


শেয়ার করুন