জয়পুরহাটে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শিবিরের সেই দুই নেতা গুলিবিদ্ধ

128802_1সিটিএন ডেস্ক :

নিখোঁজের নয়দিন পর বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেপ্তার, শুক্রবার ভোররাতে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জয়পুরহাট জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু যর গিফারি (২৮) ও সাধারণ সম্পাদক ওমর আলীসহ (২২) তিনজন।

গুলিবিদ্ধ অন্যজনের নাম আলামিন (২৬)। তবে তার রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি। আহতরা জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন।

এ সময় সুজাউল ইসলাম নামে ইউনিয়ন পর্যায়ের জামায়াতে ইসলামীর এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশের ভাষ্য, জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে শুক্রবার ভোররাতে এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে পুলিশেরও তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

পাঁচবিবি থানার ওসি আশরাফুল আলম বলেন, গ্রেপ্তার দুই ছাত্রশিবির নেতার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে পুলিশ উপজেলার আওলায় গ্রামে ভোররাতে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়।

সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় দুই ছাত্রশিবির নেতা ও আলামিন গুলিবিদ্ধ হন।

সন্ত্রাসীদের গুলিতেই তারা গুলিবিদ্ধ হন বলে পুলিশের দাবি। ঘটনাস্থল থেকে শাটার গান, চারটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

তিনি দাবি করেন, এই বন্দুকযুদ্ধে এসআই আমিনুর, পুলিশ সদস্য ইসমাইল ও জাহাঙ্গীর আহত হন। তাদের পাঁচবিবির মহীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অবশ্য আগেই দুই শিবির নেতার পরিবারের দাবি, গত ৮ ডিসেম্বর জয়পুরহাট থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে টঙ্গি আব্দুল্লাহপুরে বাস থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সে সময়ে পুলিশ, র‌্যাব ও ডিবির পক্ষ থেকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখায় র‌্যাব।

র‌্যাব দাবি করে, বৃহস্পতিবার ভোরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কদমতলী থেকে আবু যর গিফারি ও ওমর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি রিভলবার, ৪ রাউন্ড গুলি, ৬টি হাত বোমা, ২১টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।

আবু যর গিফারি জয়পুরহাট সদর উপজেলার তুলাট গ্রামের হামিদুল রহমানের ছেলে। আর ওমর আলী একই উপজেলার তেঘরবিশা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে।

গতকাল র‌্যাব-৫ রাজশাহীর পরিচালক লে. কর্নেল মাহাবুব আলম জানান, ছাত্রশিবির নেতারা নাশকতার পরিকল্পনা করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫ ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারদের নামে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান।


শেয়ার করুন