জেলায় মৃৎ শিল্পে দুর্দিন চলছে

1একান্ত আলপাচারিতায় আবদুল আলীম নোবেল
…………………………………………………………..
কক্সবাজার শহরের থানা রোডে ঐত্যিহবাহি মৃৎ শিল্পের দোকান। বিগত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দোকানটিতে মৃৎ শিল্পের নানা ধরনের মালামাল বিক্রি করে আসছে। পরিবেশ বান্ধব মৃৎ শিল্পের মালামাল এক সময় দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশও পাড়ি দিয়েছিল। আর সেই মৃৎ শিল্পের দুর্দিন চলছে। সরকারের তরফ থেকে এই শিল্পকে নিয়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রকল্পের নানা সুবিধার কথা বলা হলেও কক্সবাজারে এই শিল্পের সাথে জড়িতরা কোন সুবিধা পায়নি বলে দাবী করছেন ব্যবসায়ীরা। এনিয়ে কথা বলেছেন মৃৎ শিল্প ব্যবসায়ী সায়মন ষ্টোরের মালিক ইসরাফিল।

কেমন যাচ্ছে ব্যবসার দিন কাল ?
ব্যবসায় খুব বেশি দুর্দিন চলছে। তবে মৌসুম না হওয়ায় এটি ব্যবসার উপর আরো বেশি প্রভাবে পড়েছে। সারা দিন মিলে গুটি কয়েক ক্রেতা আসলেও তাও আবার খুব কম টাকার। এমন বিক্রি নিয়ে এক দিকে সংসার ও দোকান ভাড়া চালাতে রিতীমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফিরোজ পুর থেকে বিগত ৮ বছর ধরে এই খানে ব্যবসা করছি। গেল সময় গুলোতে ব্যবসা ভাল হতো। এখন কম হচ্ছে। পরিশ্রম বেশি করেও তার তুলনা আয় কম হচ্ছে। সরকারের তরফ থেকেও কোন সুযোগসুবিধা পায়নি। শুনছি মৃৎ শিল্পে সহজ স্বর্থে ঋণ দেয়ার নিয়ম রয়েছে। কয় কোনদিনও কিছু পায়নি। ঐত্যিহবাহি মৃৎ শিল্পের
শিল্পের মালামার এক সময় দেশের মাটি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও স্থান করে নিয়েছিল। পরিবেশ বান্ধব এই শিল্পের মালামাল ঘর সাজাতে যেমন কাজে লাগে একই সাথে দৈননন্দিন কাজে সহজে ব্যবহার করা যায়।

কোথা থেকে মালামাল নিয়ে আসেন? 2
নৌ-পথে লবণ বোঝায় ফেরত বোটে করে চট্ট্রগ্রাম,বরিশাল ফিরোজপুর, বাঘা,চামড়াসহ দেশের বেশ কিছু এলাকা থেকে মৃৎ শিল্পের মালামাল আসে। তবে কক্সবাজার উখিয়ার উপজেলা থেকে ও কিছু মালামলা আনা হয়। এটিকে সরকারীভাবে সহযোগিতা করলে পর্যটন জেলা কক্সবাজারে পর্যটকদের এক ধরনের চাহিদা মেঠাতে পারে।

কি কি বিক্রি করেন?
জালেরচরা, মটকা, টাকার ব্যাংক,মালটাটপ, চন, সরু,পাতিল,তেলন,হাড়ি, ঘটা,পাখি, হাতি, গ্লাস,পেপে, নানা ধরণের ফুলের টপ, কাটাল, কলসি, ওক্কা, বিভিন্ন মানের ঝুলানো টপ,ওয়ালটপ,আম ব্যাংক,কাঠাল ব্যাংক, তেলবাতি,মোমবাতি, পাচমুখি, প্যালেট, ঘোড়া, বালতি,ধয় প্যালেট, চাইয়াসহ আরো নানা জাতের মাটির তৈরি মালামাল পাওয়া যায়নি।


শেয়ার করুন