জেলায় উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা চলছে

সিটিএনঃ

কক্সবাজারের দ্বিতীয় ধাপে ২১ টি ইউনিয়নে ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে পাড়া-মহল্লায়। প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং মেম্বার প্রার্থী প্রচারণা জোরদার করেছেন। ইউপি নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে ভোটারের মাঝে। তবে সব প্রার্থী চায় একটি অংশগ্রহণমূলক পরিচ্ছন্ন নির্বাচন।

গত ২৬ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের পরেই ব্যাপক প্রচারণায় নেমেছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায় ১১ নভেম্বর উখিয়া উপজেলার ৫টি কক্সবাজার সদর উপজেলার ৫টি ও রামু উপজেলার ১১ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে একজন প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং অন্যান্য দল সমর্থিত প্রার্থীরাও স্বতন্ত্র তবে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ২১ ইউনিয়নে ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৬ অক্টোবর ২১ ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে ১২৪৯ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের মহুরি পাড়ার বাসিন্দা আবদুল মান্নান বলেন, আমরা নির্বাচনী নিয়ে কিছুটা সংঙ্খার মধ্যে রয়েছি।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে নয় মূলত মেম্বার প্রার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা যেকোনো মুহূর্তে সংঘাতে লিপ্ত হতে পারে মেম্বার প্রার্থীরা। আমরা চাই একটি সুস্থ নির্বাচন। আমরা নিজেদের পছন্দনীয় প্রার্থীকে চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে নির্বাচিত করতে চাই। তিনি আরো বলেন সাধারণ মানুষের মাঝে নির্বাচন নিয়ে বেশি আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে প্রতিদিন কোন না কোন প্রার্থী অথবা প্রার্থীর প্রতিনিধি ভোটারদের কাছে আসছেন। এটি অবশ্যই ইতিবাচক দিক। উখিয়া উপজেলার পরিবেশকর্মী মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, সাধারণ ভোটাররা একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক ইউপি নির্বাচন চায়। কয়েকজন প্রার্থী বিভিন্নভাবে সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধমকি দেওয়ার কারনে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাতে ভোট নেবেন, প্রশাসন ভোট কেড়ে নেবে এমন প্রচারণায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
ইতোমধ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উখিয়া উপজেলায় উপহার দেবেন এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে। তাই সাধারণ ভোটাররা কোন প্রকার হস্তক্ষেপমুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে।
রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ ভুট্টু বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করি। জনগণ যাকে চায় তিনি নির্বাচিত হবেন। এতে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটুক এটাই আমাদের কাম্য।
খুরুশকুল ইউনিয়ন কুলিয়া পাড়ার বাসিন্দা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের পদচারণায় চাঞ্চল?্যতা ফিরে এসেছে প্রতিটি গ্রামে ও অলিতে গলিতে। বিভিন্ন দোকানে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা ছাড়া আর কোনো আলোচনা নেই বললেই চলে। তবে মানুষ চায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট প্রদান করতে। যাতে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়। মানুষ চায় তাদের পছন্দনীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে।

জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, ২১ টি ইউনিয়নে একটি পরিচ্ছন্ন নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। কোন ধরনের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করা হলে আমরা তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তাই ভোটারদের মাঝে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।


শেয়ার করুন