জেদ্দায় একামার মেয়াদ হারিয়ে আতংকে রামুর ৯ সদস্যের পরিবার

Gunagar_1337457414_1-saudiমক্কা ও জেদ্দা প্রতিনিধি:

গত চার মাস ধরে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটে অফিসে সন্তানের পাসপোর্ট আলাদা করতে শতাধিক বার এসেও পাসপোর্ট আলাদা করতে না পেরে শেষে একামার মেয়াদ হারিয়ে এখন ধড় পাকড়ের আতংকে দিন কাটাচ্ছেন রামুর জোয়ারিয়া নালার ৯ সদস্যের একটি পরিবার।

খবর নিয়ে জানা গেছে, জোয়ারিয়া নালা ইউনিয়নের বাজারের পূর্ব পাশে মৌলবী পাড়ার মৃত আবুশামার ছেলে জয়নাল আলম তার স্ত্রী আনোয়ারাসহ ৭ সন্তান আয়ুব, শরিফা, শামিয়া, ওসামা, রাবিয়া, শাহাদা ও মুহাম্মদকে নিয়ে মক্কায় কাকিয়া এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। তিনি গত আট বছর সৌদিআরবে একামা নকল কপালা বন্ধ থাকায় সন্তাদের একামা নিতে পারেননি। সৌদিআরব সরকার বাংলাদেশীদের নকল কপালা খুলে দেওয়ায় জয়নাল আলম সন্তানদের পাসপোর্ট আলাদা করে পাওয়ার জন্য আবেদন করেন জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে।

এদিকে সন্তানের বয়স আটার বছর পূর্ন হলে সন্তানকে মায়ের পাসপোর্ট থেকে আলাদার করার শর্ত সৌদিআরব জোয়াজাতের। জয়নাল আলমের দুই সন্তানের বয়স আটার বছরের উর্ধে হওয়ায় জোয়াজাত জয়নাল আলম ও তার পরিবারের একামার মেয়াদ নবায়ন করেনি। তিনি গত চার মাস ধরে জয়নাল ও পরিবারের একামা রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে জেদ্দা কনস্যুলেট অফিসে যেতে থাকে।চাহিদা মত সমস্ত ডকুমেন্ট দেওয়ার পরও বার বার বিভিন্ন অজুহাতে ফেরত দেওয়ায় শেষ আশ্রয় হিসেবে কনসাল জেনারেল এ কে এম শহিদুল করিমকে ৩১/৮/২০১৫ তারিখে দরখাস্ত আকারে সুরাহা পাওয়ার আবেদন করেন। তাতেও কোন সুরাহা পাননি জয়নাল আলম।শেষে গত জিল হজ্জ মাসের ১ তারিখে জয়নাল ও তার পরিবারের সকল সদস্যের একামার মেয়াদ শেষ হয়, এখন সৌদিআরবের আইণ অনুযায়ী জয়নাল আলমের পরিবার অবৈধ। সৌদিআরবে অবৈধদের ধরতে হজ্জের ও ঈদের দিন ছাড় দিচ্ছে না সৌদি প্রশাসন।

জয়নাল আলম জানায়,তিনি তার পরিবারের একামা রক্ষা করতে শেষে স্থানীয় এম.পি সাইমুম সরওয়ার কমলের সহযোগীতাও চান, এম.পি কমল সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে কনসাল জেনারেল এ কে এম শহিদুল করিম কে ফোন করেন, এম.পি কমলের ফোন তোয়াক্কা করেনি কনসাল জেনারেল শহিদুল করিম।

এদিকে কক্সবাজারের প্রবাসীদের বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস জেদ্দার হয়রানীর অভিযোগ দীর্ঘ দিনের।যা গত হজ্জে কক্সবাজার প্রবাসীর একটি প্রতিনিধি দল গুনিজন সংর্বধনায় ড: মনছুরের নেতৃত্বে সাংসদের ডিপুটি স্পিকার এড: ফজল রব্বি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এম.পি কে মৌখিক ভাবে কক্সবাজার প্রবাসীরা কনস্যুলেট অফিসে জেদ্দায় হয়রানী হওয়ার অভিযোগ করেন। মোটো ফোনে দেশে থাকা জয়নাল আলমের ছোট ভাই আবদুল আজিজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আমার ভাই ধরা পড়লে তার পবিরার পরিজন নিয়ে দূর্ভোগে পড়বেন তার দায় কে নেবে।তিনি ধরা পড়ে দেশে হার ৪ মেয়ে নিয়ে ভিক্ষা করা ছাড়া কোন পদ থাকবে না।এখন জয়নাল ও তার পরিবার একামা রক্ষার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষপে কামনা করে বলেন,দূর্নীতি পরায়ন কর্ম-কর্তা প্রত্যাহার করে সৎ ও যোগ্য কর্ম-কর্তা দেওয়ার জন্য। এদিকে হাজার হাজার কক্সবাজার প্রবাসীরা কনস্যুলেটেরে কর্ম কর্তার হয়রানীর অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন।কক্সবাজারের বিভিন্ন্ থানার পক্ষে ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন মৌলানা নেজাম, মোজাম্মেল হক, ইমরান ছরওয়ার, মিজানুর রহমান আবছার, জাফর আলম, মো: মুসা, ইসমাইল, মনজুর ও আখতার কামাল, মো: ইব্রাহিম, ইমরান রুবেল, ওসমান ,জাফর আহমদ মুফিজ, মনির মুন্না চৌধুরি, ছরওয়ার উদ্দিন ও ঈসহাক ফরিদ আলম,সেলিম উল্লাহ,সহ অনেকে।তারা সকলে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ চান।


শেয়ার করুন