জান্নাতে যে নারীর পায়ের শব্দ শুনেছেন নবী সা.

saudi-women-walking-590x393-400x266আবু তালহা সফর শেষে ঘরে ফিরলেন। চেহারায় ক্লান্তির ছাপ। স্ত্রী উম্মে সুলাইম মিষ্টি হাসি আর প্রসন্নতা নিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানালেন। পেরেশান হয়ে অসুস্থ ছেলেটির কথা জানতে চাইলেন। স্ত্রী বললেন, যেমনটি তুমি দেখেছিলে তেমন নয়, এখন সে অনেক আরামে। তারপর স্বামীকে যতেœর সাথে রাতের খাবার খাওয়ালেন।
যথেষ্ট সুগন্ধি আর প্রসাধনী ব্যবহার করলেন। সাজগোজ করে পরিপাটি হয়ে সামনে এলেন। উষ্ণ অন্তরঙ্গতা দিয়ে স্বামীকে সুখ ও পরিতৃপ্ত করলেন। আবু তালহা নিমিষেই সফরের ক্লান্তি ভুলে গেলেন। স্ত্রী থেকে প্রশান্তি পেলেন এবং পরিতৃপ্ত হলেন।
স্বামী কে পরিতৃপ্ত দেখে বললেন, হে আবু তালহা! একটু চিন্তা করে বলো- যদি কোনো ঋণদাতা ঋণ ফেরত চায়, তাহলে গ্রহীতার কি উচিত ফেরত দিতে আপত্তি করা? -মোটেও উচিত নয়।
-আল্লাহ যে সন্তান তোমাকে দান করেছিলেন তা তিনি ফেরত নিয়েছেন। আপত্তি না করে ছবর করলে এই সন্তানের জন্য তিনি তোমাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন। আবু তালহা তখন আল্লাহর ফায়সালাকে সন্তোষ ও সমর্পণের সঙ্গে মেনে নিলেন।
এমন গুণবতী, ধৈর্য্যশীলা ও শুভপরিণতি সম্পন্না নারী জগতে আর কয়জন আছে? যার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি জান্নাতে প্রবেশ করে সেখানে পায়ের আওয়াজ শুনতে পেলাম। জানতে চাইলাম, কার পায়ের আওয়াজ? কে ওখানে!
ফেরেশতারা উত্তর দিলেন, উম্মে সুলাইম।
আজ নারীরা এই আদর্শ থেকে কত দূরে। স্বামী ঘরে এলে সংসারের বিশাল ফিরিস্তি এনে সামনে তুলে ধরেন। আর সাজগোজ? সে কেবল বাইরে ঘুরতে যাওয়ার সময়! অথচ ইসলাম নারীকে সাজতে বলেছে রাতে। কেবল স্বামীর জন্য। ছবর থেকে তো অনেক অনেক দূরে আজকের নারীরা।
আজকের নারীরা দাম্পত্য অশান্তিতে ভোগেন। এমন আদর্শ নিয়ে দাম্পত্য গড়ুন। আপনি ও হোন উম্মে সুলাইমের মতো কেউ!
লেখক: আলেমা ও শিক্ষিকা


শেয়ার করুন