জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে একুশে ভাষ্কর্য

01সিটিএন ডেস্ক:

জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে স্থাপিত হচ্ছে অমর একুশে ভাষ্কর্য। বাংলাদেশ সময় রাত দুটোয় ভাষ্কর্যটি উন্মোচন করা হবে। আপতত একমাস ধরে সেখানে রাখা হবে ভাষ্কর্যটি। নিউইয়র্কে মুক্ত ধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালী চেতনার উদ্যোগে এর নকশা করেছেন সেলিম খুরশিদ। ভাষ্কর্যটির শিল্পী মৃণাল হক।১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১মে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার পর এটি বাঙলীর একটি বড় অর্জন হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্বের বাণিজ্যিক রাজধানী নিউইয়র্ক।আর বিশ্ব রাষ্ট্র সমূহের সর্বোচ্চ সংস্থা জাতিসংঘ।তার ঠিক সামনে একশ গজের মধ্যে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে বাংলা ভাষা আর বাঙালীর গৌরবের ইতিহাস।নিউইয়র্ক প্রবাসী খুরশিদ সেলিমের নকশায় ঢাকায় ভাষ্কর্যটি নির্মাণ করেছেনে শিল্পী মৃণাল হক।
ভাষ্কর্যটিতে একজন নারী মূর্তীর পেছনে রয়েছে বিপ্লবী ছাত্রদল। হাত উর্ধ্বমূখী নারী মূর্তীটি মায়ের ভাষার মূল্য বহন করবে আর তরূণদের মূর্তী আমাদের মাতৃভাষার সংগ্রামী গৌরব গাথা স্মরণ করিয়ে দেবে।ইতি মধ্যে ভাষ্কর্যটি নিউইয়র্কে এসে পৌছেছে। স্থানও নিধারণ করে দিয়েছেন সিটি কর্তৃপক্ষ। নিউইয়র্কে মুক্ত ধারা ফাউন্ডেশন এবং বাঙালী চেতনা মঞ্চের সমন্বয়কারী বিশ্বজিত সাহা জানালেন কিভাবে তারা এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আরও জানান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে একুশে ফেব্রুয়ারীর প্রথম প্রহরে বভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন ।
বিশ্বজিত সাহা জানালেন প্রথমে ভাষ্কর্য হিসাবে শহীদ মিনারের কথা বললে নিউই্য়র্ক কর্তৃপক্ষ এটি নিতে অস্বীকার করেন । কারণ হিসাবে তারা বলেন এটি যেহেতু একটি রেপ্লিকা তাই গ্রহণযোগ্য নয়। শিল্প সত্তা হিসাবে যখন অন্য একটি ভাষ্কর্যের বলা হয় তখন সিটি মেয়র এটি গ্রহণ করেন।নিউইয়র্ক সময় সোমবার দুপুরে ভাষ্কর্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ,জাতিসংঘ , বাংলাধেশ দূতাবাস , নিউইয়র্ক ট্রেড গভর্নর ও সিটি মেয়র অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।ঐতিহাসিক এই ঘটনার সাক্ষী হতে প্রবাসীদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকেরা ।আপাতত ভাষার মাসের জন্য ভাষ্কর্যটি নির্মাণ করা হলেও এটি যাতে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয় সেই দাবি নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশীদের ।


শেয়ার করুন