জলোচ্ছ্বাসে টানা ২ দিন কুতুবদিয়ার লোকালয় প্লাবিত

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

জেলার দ্বীপ-উপজেলা কুতুবদিয়ায় ২৬ ও ২৭ মে টানা ২দিন ঘুর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাব ও পুর্ণিমার জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ২৫ গ্রাম ও বেড়িবাঁধের ১৬ পয়েন্টে জোয়ারের পানিতে একাকার হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
প্লাবিত এলাকা সমুহ হচ্ছে, উপজেলার ৬ ইউনিয়নে উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের‘পশ্চিম চরধূরুং, মিয়াজীর পাড়া, দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের লাইট হাউস পাড়া, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বিন্দাপাড়া, মতিরবাপের পাড়া, বড় মৌলভী পাড়া,মলমচর, বড়ঘোপ ইউনিয়নের উত্তর বড়ঘোপ, ঝাউতলা পাড়া, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কিরণ পাড়া, হায়দার পাড়া, কাজীর পাড়া, আনিচের ডেইল, বায়ু বিদ্যুৎ, পশ্চিম তাবালেরচর ও লেমশীখালী ইউনিয়নের দরবার জেটির দক্ষিণ এলাকা।
দ্বীপবাসী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

গতকাল ক্ষতিগ্রস্হ মানুষের মাঝে সরকারিভাবে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, স্হানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য
সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৫ মেঃ টন খাদ্য সামগ্রী ও ২ লক্ষ টাকা।

ইয়াস’র সংকেত কেটে গেলেও তার প্রভাবে বৃহস্পতিবারও কুতুবদিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে ওইসব এলাকা সমুহ।
এছাড়া ২দিনে তলিয়ে গেছে হাজারোধিক বসতবাড়ীসহ রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্টান।

সীমাহীন দু:খ-কষ্টে রয়েছে ওসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।
যুগযুগধরে দ্বীপের পশ্চিম অংশে ভাঙ্গনে জোয়ারে প্লাবিত হলেও কয়েক বছর ধরে পূর্ব পাশেও জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে।
বিগত ৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে দ্বীপ উপজেলার চতুর্পাশের বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়। এরপর থেকে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছে উপজেলাবাসী।
এছাড়া সাব মেরিন ক্যাবলে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পারাপারে ফেরি সার্ভিস চালুর দাবিও করে যাচ্ছে ভুক্তভোগী দ্বীপবাসী।

স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, বর্তমানে ১২০ কোটি টাকার চলমান নির্মাণ কাজেও পশ্চিম অংশ অন্তর্ভূক্ত না করায় পুরো এলাকা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
দ্বীপের মোট ৪০ বর্গ কি.মি.বেড়িবাঁধের মধ্যে ২০ কিমি ঝুঁকিপূর্ণ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
কয়েক কি.মি.বাঁধ বিধ্বস্ত ও অনেক বসতবাড়ী ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে বলে উপজেলা সুত্রে জানা গেছে।


শেয়ার করুন