ছাত্রলীগ রাজনৈতিক এতিমদের সংগঠন

Nazmulসিটিএন:
ছাত্রলীগ পলিটিক্যালি এতিমদের সংগঠন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।  আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে নাজমুল বলেন, ‘কেউ ছাত্রলীগের খোঁজ-খবর রাখে না। নেত্রী (শেখ হাসিনা) আপনি ছাড়া ছাত্রলীগের কেউ খোঁজ রাখেন না।’

শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলী লীগের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৮তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনে নিজের প্রতিবেদন তুলে ধরে নাজমুল আলম এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সাবেক নেতাদের তৎপরতার কথা উল্লেখ করে নাজমুল বলেন, ‘সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অনেকের ব্যক্তিত্বের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর দুধের মাছিরা আবার দুধে মিলিয়ে যায়।’

ছাত্রলীগ থেকে যেমন বীর নেতৃত্বের সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি বিশ্বাসঘাতকেরও সৃষ্টি হয়েছে-ছাত্রলীগের ২৭তম সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফের এই বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে নাজমুল বলেন, ‘আমি আশরাফ ভাইয়ের কথার প্রথমটা হতে চেয়েছি।’ এসময় মঞ্চে পাশাপাশি বসে থাকা আশরাফ তাকিয়ে ছিলেন নাজমুলের দিকে।

সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন বিএনপি-জামায়াত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আগুন দিয়েছে। সেই দিন ছাত্রলীগই মাঠে ছিল। আর ছাত্রলীগ মাঠে ছিল বলেই বাংলাদেশ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মুক্ত হয়েছে।’

গণমাধ্যমের সমালোচনা করে সোহাগ বলেন, ‘অনেকেই আছেন আমাদের সমালোচনা করেন। কিন্তু ছাত্রলীগের ইতিহাস গৌরবের ইতিহাস। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করার জন্য ছাত্রলীগই কাজ করেছে। বিএনপি-জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের যে চক্রান্ত তা আমরাই রুখে দিয়েছি।’

ছাত্রলীগের নিহত নেতাকর্মীদের অবদান স্বীকার করে সোহাগ বলেন, ‘জঙ্গিবাদ-হেফাজতকে প্রতিহত করতে গিয়েই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শহীদ হয়েছেন। এই শহীদদের অবদান কিভাবে অস্বীকার করেবেন? ছাত্রলীগের গৌরব শুধু অতীত গৌরব নয়, বর্তমানেরও গৌরব।’

প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প প্রসঙ্গে সোহাগ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা কারাগারে থেকেই রূপকল্পের স্বপ্ন দেখেছেন। আমরা এখন ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। আজ প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প স্বপ্ন নয় বাস্তবতা।’

শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল। শোক প্রস্তাবের পর সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এর আগে শেখ হাসিনা বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমসহ মন্ত্রিপরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্য ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।


শেয়ার করুন