সিটিএন ডেস্ক :
কথায় আছে ‘ছাগলে কী না খায়।’ কিন্তু উপরের ছবিটি দেখে ছাগলে কী না করে বললেও ভুল হওয়ার কথা নয়। এই ছাগলগুলোর যেখানে থাকার কথা ছিল কোনো মাঠে বা চারন ভূমিতে ঘাসের সন্ধানে। কিন্তু এরা দিব্যি গাছে চড়ে বেড়াচ্ছে। এদের এমন অদ্ভুত আচরণে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মেনে নেওয়া কঠিন হলেও মরক্কোর এই ছাগলগুলো সত্যিই গাছে চড়তে পারে।
খাবারের খোঁজে এরা ভূমি থেকে প্রায় ৩০ ফুট বা তার বেশি উচ্চতায় চড়তে পারে। এদের প্রিয় খাবার আরগেন গাছের ফলের খোঁজে তাদের খন্ডিত খুরকে কাজে লাগিয়ে এরা গাছে চড়ে। মরক্কোয় আরগেন গাছে চরা এই বিস্ময় ছাগলের ছবি তোলার সময় এরা গাছে ভূমি থেকে ৩২ ফুট উঁচুতে আরোহন করছিল। এরা মাঝে মাঝে নিজের পছন্দের ফলটি পেতে গাছের কচি মগডালে পর্যন্ত চড়ে বসে।
মরক্কোর এসৌয়ারা অঞ্চলে আলোকচিত্রী মৌরিজিও পুনতুরির ক্যামেরায় ধরা দেয় এই বিস্ময় ছাগলগুলো। ‘আমি এসৌয়ারার ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার চোখ ওই আরগেন গাছে এসে আটকে গেল। আমি ভূত দেখার মত চমকে উঠলাম। আমি তখন বিস্ময়ে অভিভূত। আমি যেন আমার চোখকে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমি দেখলাম কিছু ছাগল একটি আরগেন গাছে চড়ে ফল খাচ্ছে। আমি সাথে সাথে সেই ক্ষুদার্থ ছাগলগুলোর ছবি তুললাম।’ নিজের অবাক বিস্ময়ের কথা এভাবেই বণর্না করছিলেন ৫৫ বছর বয়সী এই ইতালিয় আলোকচিত্রী।
মরক্কোর এই ছাগলগুলো গাছে চড়তে খুবই দক্ষ। তারা এতটাই স্বাভাবিকভাবে গাছে চড়ে অভ্যস্ত যে সাধারণত গাছ থেকে এরা পড়ে না বা কোনো সমস্যা ছাড়াই ফলাহার শেষে নিরাপদে নেমে আসতে পারে। এরা যখন গাছে চড়ে তখন মাঝে মাঝে দেখে মনে হবে কচি পাতার আড়ালে কোনো প্রকান্ড পাখি বসে আছে কিংবা কোনো ডানাহীন আশ্বর্য্য জীব। যা এই বুঝি বাতাসে ভেসে যাবে।
মরক্কোর অর্থনীতিতে এই আরগেন গাছে ফলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিবছর আরগেন ফলের তেল বিশ্বের অনেক দেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু এই ফল খেকো গাছে চড়া ছাগল গাছের কচি পাতাসহ সেই ফল খেয়ে সাবার করে। এই ছাগলের সংখ্যা যত বাড়বে তেল উৎপাদন তত কমে যাবে এমনটাই আশংকা করছেন অনেকে।