‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার নিলেন প্রধানমন্ত্রী

120952_1সিটিএন ডেস্ক :

জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তিনি ‘পলিসি লিডারশিপ’ ক্যাটাগতিতে এই পুরস্কার পান।

রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক অ্যাচিম স্টেইনার প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।

পরিবেশ বিষয়ে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়ে থাকে। নীতি নির্ধারণ, বিজ্ঞান, ব্যবসা ও সুশীল সমাজ— এই চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।

এ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার বন রক্ষায় নিয়োজিত নারী সেনা দল ব্ল্যাক মাম্বা এন্টি পোচিং ইউনিট, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি, ব্রাজিলের প্রসাধন কোম্পানি নাচুরা ব্রাজিল এই পুরস্কার পেয়েছে।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় এই পুরস্কার বাংলাদেশের মানুষের প্রতি উৎসর্গ করে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের জনগণের ঐকান্তিকতা ও দৃঢ়তার স্বীকৃতি এই পুরস্কার।’

তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমার দেশের মানুষ শিখেছে, কীভাবে বাঁচতে হবে, কীভাবে লড়তে হবে। আর আমরা তা করছি নিজেদের সম্পদ ব্যবহার করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অনেক দেশ বাংলাদেশকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে উল্লেখযোগ্য কোনো অর্থ বা সহায়তা মেলেনি।

তিনি বলেন, ‘এ কারণে আমরা নিজেদের সম্পদ ব্যবহার করে, নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে দেশ বাঁচাতে মানুষ বাঁচাতে কাজ শুরু করি।’

এর আগে শেখ হাসিনাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক অ্যাচিম স্টেইনার বলেন, উন্নয়নশীল বিশ্বে বাংলাদেশই প্রথম ‘ক্লাইমেট চেইঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করে পরিবেশ সুরক্ষার কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে; আর তা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার ‘দূরদর্শী নেতৃত্বের’ কারণে।

তিনি বলেন, বিশ্বে প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ নিজস্ব জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, বাংলাদেশে বাজেটের ৬-৭% অর্থ নির্দিষ্ট করে রাখা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত শঙ্কা মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

পুরস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং এই পুরস্কার তিনি উৎসর্গ করেন বাংলার মানুষের জন্য।

তিনি বলেন, ‘আমার দেশের মানুষকে আমি ভালবাসি। আমার জীবন আমি উৎসর্গ করেছি তাদের জন্য। দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতেই আমি কাজ করছি।’


শেয়ার করুন