এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী-খুরুস্কুল সংযোগ সেতুটি পর্যটনের অপার সম্ভাবনা এ সেতু পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। ঈদুল আযহা তথা কোরবানীর ঈদে বৃহত্তর এলাকার গ্রামাঞ্চলের পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে এ সেতুর দু‘প্রান্তে বিকেল হলে বসে গ্রাম্য এবং দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের মিলন মেলা।
বৃহত্তর ঈদগাঁর জনগোষ্টি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকরা সেতুর উপর বসে উপভোগ করেন দিনের সূর্যাস্থ। পাখির কলকাকলীতে ভরপুর প্যারাবন, সারি সারি ফিশিং ট্রলার, জেলে মাঝি মাল্লার কুলাহল যেন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দূর থেকে মহেশখালীর আদিনাথ, জেটি ঘাট দেখার সুযোগ হয় এ সেতুতে বসে। তবে পর্যটকদের ভয় নিরাপত্তার অভাব।
তারা সন্ধ্যা নাগাদ সেতু এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় চৌফলদন্ডীর পুলিশ ফাঁড়ির টহল ব্যবস্থা জোরদারের দাবী জানান। প্রাপ্ত তথ্য মতে, এ সেতুটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্ভোধন করেন। উদ্ভোধনের পর থেকে ঈদগাঁও’র সংখ্যা গরিষ্ট লোকজন এ সেতু দিয়ে কক্সবাজারে যাতায়াত করেন। ঈদগাঁও বাস ষ্টেশন থেকে কক্সবাজার শহরে যেতে প্রায় আধঘন্টারও বেশী সময় লাগলেও চৌফলদন্ডি খুরুস্কুল সড়ক দিয়ে যেতে সময় লাগে মাত্র আধা ঘন্টা।
ঈদের দিন বিকেলে কয়েক গ্রাম্য বন্ধু পড়ন্ত বিকেলে সেতুর চারপাশের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসা তাদের সাথে এ প্রতিনিধি কথা হলে- এ সেতুটি দেখতে আসেন খুরুষ্কুল এলাকা থেকে। তারা এ সংযোগ সেতুটির চারপাশ ভ্রমণ করে খুব আনন্দ পেয়েছেন বলে হাস্যোজ্জ্বল কন্ঠে জানান।
তবে পর্যটকদের সুবিধার্থে তারা পুলিশী টহল জোরদারের দাবী জানান। অপরদিকে স্থানীয় ক’জনের মতে, এ সেতু বৃহত্তর ঈদগাঁও বাসির জন্য যোগাযোগের বিরাট ভূমিকা পালন করছে। তাছাড়া ছেলে মেয়ে সহ আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে লোকজন কিছুটা সময় বিনোদনের জন্য এ সেতুতে কাটা যায়। ঈদগাঁও বাজার এলাকার কয়েক ব্যক্তির মতে, এ সেতু ঈদগাঁও বাসির জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি ছোট্ট উপহার। সেতুর কারনে কক্সবাজার যোগাযোগ সহজ হয়েছে।
অন্যদিকে সেতুর পাশে রয়েছে চৌফলদন্ডী মাছ ঘাট। দেশি বিদেশি পর্যটকদের সোনাদিয়া- ছিরাদিয়া- কাউয়ারদিয়া, মহেশখালী দেখার অপুর্ব সুযোগ সৃষ্টি করছে এ সেতু। গ্রামের বাড়ীতে ঈদের কোরবানী করতে আসা কয়েক জন চট্টগ্রামে চাকরিজীবির সাথে কথা হলে তারা- আমাদের এলাকায় ঈদ পরবর্তী আনন্দ উপভোগ করার লক্ষ্যে যে সৌন্দর্য্য রয়েছে তা আগে জানতাম না। এখন গ্রাম্য সুন্দর দৃশ্যগুলো দেখতে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে ছুটে এসেছি চৌফলদন্ডী ব্রীজের পাড়ে। এসে দেখি দূর-দূরান্তের পর্যটকদের যেন এক মিলন মেলা।