সিটিএন ডেস্ক:
নিহত সীমা খাতুন (৩০) কুষ্টিয়া সদর থানার দাধবাজার পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত সুমন আলীর স্ত্রী।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের বাস টার্মিনাল পাড়ায় সুমনের বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তখনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।
সুমনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলেছে নিহত সীমার স্বজনরা।
স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি সাইফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সদরের জালশুকা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে সীমার সঙ্গে ২০০৫ সালে কুষ্টিয়া সদরের ফজলুল হকের ছেলে সুমনের বিয়ে হয়।
“বিয়ের পর থেকেই সুমন যৌতুকের দাবিতে সীমাকে মারধর করত। কিছুদিন আগে ১০ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন সুমন। শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় সীমার মৃত্যু হয়।”
পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে সীমার ‘মুখে কাটা ও পায়ে আচড়ের দাগ’ শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
সীমার চাচা কামাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিয়ের পর থেকেই সুমন যৌতুকের দাবিতে সীমাকে মারধর করত। সুমনই সীমাকে হত্যা করেছে।”
তবে সুমন ‘দাম্পত্য কলহের জেরে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে সীমা আত্মহত্যা করেছে’ বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে।