চীন সাগরে মুখোমুখি চীন-মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

123679_1সিটিএন ডেস্ক :

 দক্ষিণ চীন সাগর দখলে বেইজিংয়ের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের নেমে পড়ছে ওয়াশিংটন। চিনের সব আপত্তি উড়িয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে মার্কিন রণতরী।

এটাই শেষ নয়, আমেরিকান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, দক্ষিণ চীন সাগর দখলে অব্যাহত থাকবে নৌ-বাহিনীর অভিযান।

তিনি আরো জানান, ‘এই মুহূর্তে দক্ষণ চীন সাগরে আমাদের অভিযান চলছে। আগামী সপ্তাহ, এমনকি মাসব্যাপী এই অভিযান চলবে।’

দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকার নিয়ে এই মুহূর্তে রীতিমতো উত্তপ্ত চীন-আমেরিকা সম্পর্ক।

পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ত সমুদ্র অঞ্চল দক্ষিণ চীন সাগরের বেশির ভাগ অংশ বহুদিন ধরেই নিজেদের বলে দাবি করে চীন। সেখানে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জও তৈরি ফেলেছে তারা।

এবার চিনের সেই একাধিপত্যে ভাগ বসাতে চায় আমেরিকা।

মঙ্গলবার সুবি এবং মিসচিফ রিফের কাছাকাছি পৌঁছে যায় একটি মার্কিন রণতরী। বুধবার রণতরীটি চীনের কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জের ১২ মাইল পরিধির মধ্যে প্রবেশ করে গেছে।

ওয়াশিংটনের দাবি আন্তর্জাতিক আইন মেনেই এই অভিযান চালাচ্ছে তারা।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব বলেন, ‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে সমতা বজায় রেখে আমেরিকার ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতেই আমারা এই অভিযান চালাচ্ছি।’

অন্যদিকে আমেরিকার এই চ্যালেঞ্জে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। জানিয়েছে নিজেদের অঞ্চলে অন্য কারো খবরদারি তারা বরদাস্ত করবে না।

আমেরিকায় চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন ‘পেশি শক্তি দেখিয়ে এভাবে অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের আগে ১০ বার ভাবা উচিত আমেরিকার, কোনো রকম প্ররোচনামূলক কার্যকলাপের ফলে যদি আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট হয়, তার দায় আমেরিকার উপরেই বর্তাবে।’

বেজিং-এর এই অভিযোগকে অবশ্য পাত্তা দিচ্ছে না হোয়াইট হাউস।

তাদের দাবি, সমুদ্রের ওই অংশের উপর অধিকার সব দেশের। কেউই সেখানে একাধিপত্য কায়েম করতে পারে না।

হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি বলেন, ‘এটা অধিকারের প্রশ্ন। আমাদের স্বাধীনতা কেউই কেড়ে নিতে পারে না।’

তবে নির্দিষ্ট কোনো সেনা অভিযানের পথে আমেরিকা হাঁটবে কিনা, সেই ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি ওয়াশিংটন।

আমেরিকা অবশ্য দাবি করছে যে, এই অভিযানের ফলে চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে বিন্দুমাত্র চিড় ধরবে না।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


শেয়ার করুন