চালের পর সবজির বাজারে আগুন

চালের পর সবজির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে হাতে গোনা দু একটি সবজি ছাড়া সবগুলোর দাম হুহু করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিক্রেতারা বলেছে, পাইকারি আড়তে সবজির সরবরাহ কমেছে বলে খুচরাতে এর প্রভাব পড়েছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর। ঢাকার করেকটি খুচরা কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, কোনো সবজির দামই ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে নেই। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম।
এই মশলাটির দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে। ক্রেতাদের এখন আড়াইশ’ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ কিনতে হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজিতে। আর যে কোনো সবজি কেজি প্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঢাকার বাজারে দেখা যায়, একশ’ গ্রাম কাঁচামরিচ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়। যা তিনদিন আগেও ১২ থেকে ১৫ টাকা ছিল। এক বিক্রেতা বলেন, গত তিন দিন ধরে দ্বিগুণের বেশি দাম দিয়ে পাইকারি বাজার থেকে মরিচ আনতে হচ্ছে। এ কারণে খুচরায় বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। দোকানীদের বক্তব্য, বাজারে চাহিদার চেয়ে মরিচ কম আসায় হঠাৎ করেই দাম বেড়ে গেছে। মূল কারণ হচ্ছে ভারি বর্ষণ ও বন্যার কারণে অনেক সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়া। এরপর নতুন করে আবাদ করা সবজি এখনও পুরোপুরি বাজারে আসেনি।
বন্যার অজুহাতে অনেকদিন ধরে কিছুটা চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছিল নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি। এরপরও গত সপ্তাহে নতুন করে শবজির দাম আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। পুঁইশাকের দর প্রতি আঁটি ৪০ টাকা। আবার ৪০ টাকা করে আটি বিক্রি হচ্ছে লাউশাকেরও। এছাড়া লালশাকের আঁটির দাম ৩০ টাকা করে। আর এক আঁটি কলমিশাকের দামও বর্তমানে ১৫ টাকা।
রাজধানীর বাজারে ৫০-৬০ টাকার নিচে মিলছে না তেমন কোনো সবজি। সিমের কেজি ১৫০-১৬০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও তা ১২০ টাকা ছিল। প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বেগুন ধরনভেদে ৯০-১০০ টাকা হয়েছে। এখন গাজর ও টমেটো ১০০-১২০ টাকা কেজি; যা আগের সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। প্রতি কেজি বরবটি ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, পটোল ও করলা ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এ ছাড়া মরিচের ঝাল এখনও কমেনি। প্রতি কেজি ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞায় বাজারে অন্য মাছের চাহিদা বেড়েছে। এতে দামও বেড়েছে কেজিতে ২০-২৫ টাকা। প্রতি কেজি মাঝারি রুই মাছ ২০০-৩০০ টাকা, কাতলা ২৫০-৩৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৮০ টাকা, বোয়াল ২৮০ টাকা ও সিলভার কার্প ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০-১২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি সোনালি মুরগি আকারভেদে ১৫০-২০০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৪৮০-৫০০ টাকা ও খাসি ৭০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

–শীর্ষনিউজ


শেয়ার করুন