চবি ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ

সিটিএন ডেস্ক :

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সদ্যঘোষিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিতদের সঙ্গে কমিটিতে আসা নেতা-কর্মীদের মাঝে এ সংঘর্ষ বাঁধে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, প্রায় ৪০ মিনিট ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও আশানুরুপ পদ না পাওয়া ছাত্রলীগের সাথে সদ্য কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পদবঞ্চিতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ও সদ্য কমিটিতে স্থান পাওয়া ছাত্রলীগ শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে অবস্থান নেয়।
এসময় তাদের মধ্যে ৩৫ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। পদবঞ্চিত পক্ষের ছাত্রলীগের ‘বাংলার মুখের’ এক কর্মী আবির ইকবাল নামে একজন আহতও হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।সংঘর্ষ এখনও থেমে থেমে চলছে।
চবির পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোকাদ্দেশ হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের একটি পক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলে ও অপর পক্ষ শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়েছে। এর আগে নিজেদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় ৩৫ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনা যায়। একজন গুরুত্বর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় এক সহকারী প্রক্টর নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ বেঁধেছে। সংঘর্ষ থামাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, ব্যাপক গুলাগুলির শব্দ শুনেছি। এর মধ্যে ছাত্রলীগের পদ পাওয়া ও পদবঞ্চিত কর্মীদের হাতে রামদা ও বড় বড় অস্ত্র দেখা গেছে। দুই পক্ষই ঘণ্টাব্যাপি গুলিবিনিময় করেছে।
তারা জানান, রাত হওয়ায় ক্যাম্পাসে পুলিশও যথেষ্ট পরিমাণে ছিলনা। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এর আগে গত ২ দিন বিশ্ববিদ্যালয় মূল ফটকে তালা, এক নম্বর গেটের সামনে হাটহাজারী-রাঙামাটি সড়কটি অবরোধ করে রাখে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও আশানুরুপ পদ না পাওয়া নেতা-কর্মীরা। সর্বশেষ বুধবারও শাটল ট্রেন ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকবাসও অবরোধ করে রাখে তারা। ফলে ওইদিন কোন বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেয় কেন্দ্র। যে কমিটিতে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করেনি বলে দাবি করে আসছে ছাত্রলীগের একটি অংশ।


শেয়ার করুন