চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন সেকেলে আইনে বাঁধাগ্রস্ত

ctg-port-d_17165_55259_71810_90389সিটিএন ডেস্ক :

চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হওয়ার জন্য আইনী জটিলতাকেই দায়ী করছে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটি মনে করে, সেকেলে এই আইনে এখন আর চলে না। তাই যুগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আইনটির সংশোধন জরুরি। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এসব আলোচনা হয়।

এতে কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নের জন্য কিছু যন্ত্রপাতি দরকার। কিন্তু যন্ত্রপাতি ক্রয় নীতিমালায় কিছু ঝামেলা রয়েছে। আইনে আছে ৫ বছরের বেশী সময় লিজ দেয়া যাবে না। এখন যারা লিজ নেবে তারা তো ৫ বছরের জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয়ে আগ্রহী নন।

তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যুগের সাথে সঙ্গতি রেখে কিভাবে বিধিমালা করা যায় সেটি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়কে। তিনি বলেন, বিদ্যমান নীতিমালার কারণে টেন্ডার আহ্বান করা যাচ্ছে না। তাই নীতিমালা সংশোধনের উদ্যেগ নেয়া হয়েছে। এজন্য একটি সাব কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এদিকে বৈঠকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়।

এসময় জানানো হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ ৪ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। একইসঙ্গে ২১৭ একর জমি অবৈধ দখলকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া নারায়নগঞ্জের কাঁচপুরে ২ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে গাছ লাগানো হয়েছে, পর্যায়ক্রমে উদ্ধারকৃত সব জমিতে গাছ লাগানো হবে বলে জানানো হয়।

বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, তালুকদার আব্দুল খালেক, মো. আব্দুল হাই, মো. নূরুল ইসলাম সুজন, মো. হাবিবর রহমান, এম আব্দুল লতিফ, রণজিৎ কুমার রায়, মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার) এবং মমতাজ বেগম অংশ নেন। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন