কক্সবাজারে পরিবহন নেতার উপর হামলা

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যান চলাচল বন্ধ

imagesশাহেদ ইমরান মিজান, সিটিএন:

কক্সবাজার শহরে সিএনজি অটোরিক্সা টেম্পু সড়ক ইউনিয়নের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। বুধবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন দক্ষিণ চট্টগ্রাম বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিএনজি অটোরিক্সা টেম্পু সড়ক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সফর আলীকে স্বাগত জানানোকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের বাজারঘাটা এলাকায় সংগঠনের জেলা কার্যালয়ে বিবদমান দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় জেলা সিএনজি অটোরিক্সা টেম্পু সড়ক ইউনিয়নের এক গ্রুপের নেতা মোঃ ছিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক আহমদ। অপর দিকে আহত হয় জেলা সিএনজি অটোরিক্সা টেম্পু সড়ক ইউনিয়নের বর্তমান আহ্বায়ক জিন্নাত আলী বাপ্পী, নোমান, খোকাসহ ১০ জন আহত হয়।
আহ্বায়ক জিন্নাত আলী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাকে সংবর্ধনা দিতে গেলে বহিস্কৃত পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে সভায় যোগ দিতে আসা আমাদের এক সিএনটি অটোরিক্সা চালকে বেঁধে রাখে। আমরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আমাদের উপর হামালা চালায়। এতে আমাদের ৬ লোক আহত হয়েছে।’
তিনি দাবী করে বলেন, ‘মোঃ ছিদ্দিকসহ তাদের কেউ আহত হয়নি। এটি সাজানো। বরং তারাই হামলা চালিয়ে আমাদের লোকজনের উপর হামলা করেছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলেও কোন কথা বলেননি মোঃ ছিদ্দিক।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আবু অভিযোগ করেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। মোঃ ছিদ্দিকের উপর বিচার না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ধর্মঘট ডাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনভুক্ত সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করছে। ধর্মঘটের জের ধরে চট্টগ্রামের পটিয়ায়ও পরিবহন শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার কাইয়ুম উদ্দীন জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) কাজী মতিউল ইসলাম বলেন, ‘রাত ১০ পর্যন্ত কারও পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ধর্মঘটের ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসাইন বলেন, ‘আমি ঘটনাটি অবহিত হয়েছি। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’


শেয়ার করুন