চট্টগ্রামের জন্য ‘বড়’ বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার

DSC_0235সিটিএন ডেস্ক :

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন ও সড়ক সংস্কারে সরকার ‘বড়’ ধরনের বরাদ্দ গ্রহণের উদ্দ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে অনানুষ্ঠানিক এক আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘জলাবদ্ধতা এবং রাস্তাঘাটের সমস্যা সমাধানে চট্টগ্রামের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত ১৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে  কথা বলার জন্য চট্টগ্রামের মেয়রকেও ডেকেছেন। মেয়র প্রকল্প দিলেই পাস হয়ে যাবে।’

এসময় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সারাদেশে সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য টানা বর্ষণ ও কাজের খারাপ মানকে দায়ী করেন ।

তিনি বলেন, ‘এর আগে বাংলাদেশে এত বৃষ্টিপাত খুব একটা হয়নি। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় টানা বর্ষণসহ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। নির্মিত রাস্তাগুলোর কাজের মান অনেক ক্ষেত্রে সঠিক হয় না। এগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।এগুলো জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। আমাদের মনিটরিং কমিটি সবার পারফরম্যান্স নিয়ে আলাপ আলোচনা করছে। ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের কৈফিয়তের আওতায় আনা হবে। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার দেব। খারাপ কাজের জন্য প্রকৌশল ও ঠিকাদার উভয়কে শাস্তি দেওয়া হবে। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের কিছু কিছু পয়েন্টের অবস্থা খুবই নাজুক। দোহাজারির অবস্থা খুবই খারাপ। চট্টগ্রামে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই।  নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকলে রাস্তা যত ভালোই করেন এটা টিকবে না।’

তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে যাতে পানি জমতে না পারে, সরকার তার জন্য মহাসড়কের বাজার অংশে রিজিড প্যাভমেন্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে বাজেট বরাদ্দের জন্য অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন।’

যেখানে থ্রি হুইলার বন্ধ করা হয়েছে সেখানে শতকরা ৯০ ভাগ দুর্ঘটনা কমে গেছে বলে দাবি করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে ৯৬টি জাতীয় মহাসড়ক আছে , মাত্র ২২টি মহাসড়কের পৌনে তিন হাজার কিলোমিটার অংশে থ্রি হুইলার বন্ধ করেছি।  আঞ্চলিক মহাসড়কে বন্ধ করিনি, জেলা সড়কেও বন্ধ করিনি। তিনমাস পরে কোন মহাসড়কে ত্রি-হুইলার চলতে পারবে না।’

এসময় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, প্রবীণ সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ রফিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শহীদুল আলম, চিটাগং টিভি জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর সবুজ ও এটিএন বাংলার মঞ্জুর কাদের মঞ্জু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন