চকরিয়ায় চিংড়ি চাষের ইজারা বাতিল করতে ১৩ কর্মকর্তাকে বেলা’র চিঠি

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বনভূমি চিংড়ি চাষের জন্য ইজারা দেয়ায় চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। বাংলাদেশ সরকারের ৩ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জন সরকারি কর্মকর্তাকে এই চিঠি দেয়া হয়েছে।

বুধবার বেলা’র আইনজীবী এড. এস হাসানুল বান্নার পাঠানো ওই চিঠি আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়। একই সাথে চিঠিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়।

চিঠিশপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি), চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এবং কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, টেকনাফ, পেকুয়া, চকরিয়া ও কক্সবাজার সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

ওই চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের এক লাখ ৯৫ হাজার একর ও কক্সবাজারের ৩০ হাজার একর বনভূমি চিংড়ি চাষের জন্য ব্যবহার না করে সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ২০১২ সালের ১৭ জুন মহামান্য হাইকোর্টে এক জনস্বার্থমূলক মামলা করেছিল। ওই মামলায় ৭ হাজার ৭৯৩ দশমিক ৫৪ একর বনভূমি সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কর্তৃক ‘ইজারা প্রদানের প্রক্রিয়া কেন আইনগত ভাবে কর্তৃত্বহীন ও আইনী ভিত্তিহীন’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন উচ্চ আদালত।

একই আদেশে চট্টগ্রামের এক লাখ ৯৫ হাজার একর ও কক্সবাজারের ৩০ হাজার একর বনভূমি ‘সংরক্ষণ করতে’ বিবাদীগণের উপর কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছিলেন আদালত।

সেই সাথে উচ্চ আদালত সেই বনভূমি চিংড়ি চাষের জন্য ইজারা প্রদানের প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বেলা’র আইনজীবী তাঁর চিঠিতে বলেন, ওই প্রজ্ঞাপিত জমির মধ্যে ৩৬১ দশমিক ৩৫ একর বনভূমি ইজারা দেয়ার জন্য চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই অনুমোদনকে ‘আদালত অবমাননা’ বলে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী এস. হাসানুল বান্না।
তিনি চিঠিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দেয়া ইজারা বাতিল ও বনভূমি ইজারা প্রদান থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।
অন্যথায় চিঠিশপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।


শেয়ার করুন