চকরিয়ায় ওজনে কারচুপি: দেখার কেউ নেই

25নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলা সদরের চিরিঙ্গা কাচাঁবাজারসহ সর্বত্রে ওজনে কারচুপির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে । চকরিয়ার সচেতন মহলের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনমনে বেড়ে চলছে। পৌরসদরের চিরিঙ্গা কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, মাংস বাজার, মুদির দোকান, ফলের দোকান ও ভ্রাম্যমান বিভিন্ন নাস্তার দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বর্তমান ডিজিটাল যুগে সেই পুরনো আমলের (বাটকারা) পাল্লা ও সিল ব্যবহার করায় ওজনে কারচুপির আশংকাজনকহারে বেড়ে গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসদররসহ ১৮ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সাধারণ লোকজনের ব্যবসায়ীক কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে চিরিঙ্গা বাসষ্টেশন। চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কয়েক ক্রেতার মতে, বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির ডিজিটাল যুগেও জিনিসপত্র মাপার সিল পাল্লা সেই পুরনো আমলেরটিই রয়ে গেল। এতে করে দুর দুরান্ত থেকে আসা গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ লোকজন নানা জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে কোন না কোনভাবে ঠকছে বলে মন্তব্য করেন। তাই সেই মান্ধাতার আমলের সিল পাল্লা ঝেড়ে ফেলে আধুনিক মাপার যন্ত্র ডিজিটাল স্কেল দিয়ে মেপে ক্রেতা সাধারণের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনার আহবান জানান। দেখা যায়, অনেকেই সিলের পরিবর্তে ইটের গুড়া বা অন্যান্য জিনিসকে সিল হিসাবে ব্যবহার করছে। ফলে প্রায়শঃ ঠকছে ক্রেতারা। দীর্ঘদিন ধরে বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা মাফিক ব্যবসা প্রতিষ্টান চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বৃহত্তর চকরিয়ার গ্রাম-গঞ্জের ক্রেতাদের সুবিধার্থে ওজনে কাপচুপির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জোর দাবী সচেতন মহলের। ব্যবসায়ীদের এমন মনোভাব দেখে মনে হয় এসব দেখার কেউ নেই। এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে ক্রেতা আর ব্যবসায়ীদের মাঝে ভবিষ্যতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকে। চিরিঙ্গা কাচাঁ বাজার ব্যবসায়ী, পরিচালনা কমিটি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে জেলার দ্বিতীয় বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে সুপরিচিত চকরিয়া কাচাঁ বাজারে এসব কুকর্ম করে একের পর এক পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। ফলে ক্রেতা সাধারণের মাঝে চাপা ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারের কিছু কিছু দোকানে ডিজিটাল স্কেল দেখা গেলেও সর্বত্র ডিজিটাল স্কেলের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসা পরিচালনা কমিটির এক সদস্য জানান, বাজার কমিটি এসব হীন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জনমনের ক্ষুভের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে আরেক ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সদস্য জামাল এসব বিষয়ে বক্তব্য দিতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। সর্বোপরি “শীল পাল্লার দিন শেষ ডিজিটাল স্কেলের বাংলাদেশ” প্রতিষ্টা করার জন্য সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা, উপজেলা প্রশাসন, বিএসটিআই, বাজার মনিটরিং কমিটি ও চকরিয়া থানা পুলিশ প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন চকরিয়ার সচেতন মহল।


শেয়ার করুন