চকরিয়ায় অগ্নিকান্ডে বসতবাড়ি ভস্মিভূত

‡‡cccccccccccccccccপেকুয়া প্রতিনিধি:
চকরিয়ায় অগ্নিকান্ডে এক বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মিভুত হয়েছে। অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত নিয়ে প্রতিপক্ষকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। গভীর রাতে অগ্নিপাতের সুত্রপাত হয়। এসময় আগুনের প্রচন্ড লেলিহান শিখা বাড়ির সর্বত্রে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গত বৃহ্সপতিবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মছনিয়াকাটা এলাকায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। এসময় ওই বাড়ির প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে অসহায় ব্যক্তির একমাত্র মাথা গোজার ঠাঁইটুকু পুড়ে যাওয়ায় চরম দুর্বিপাকে পড়েছেন পুরো পরিবারটি। চরম মানবেতর খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছে পরিবারের সদস্যারা। গৃহকর্তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের বিলাপ ও চোখের জলে এলাকার বাতাস ভারি হয়েছে। আগুনে সব স্বপ্ন কেড়ে নেওয়ায় তাদের চোখেমুখে হতাশা ও অস্তিরতা দেখা দিয়েছে। ভস্মিভুত ওই বাড়িটি ওই এলাকার মৃত.কবির আহমদের পুত্র নুরুল আলম প্রকাশ সোনামিয়ার বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় ৫শতক জায়গা নিয়ে সোন মিয়ার সাথে একই এলাকার আব্দু জলিলের ছেলে সাইফুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে সাইফুল সোনামিয়াকে জিম্মি করে কয়েকটি অলিখিত স্ট্যাম্প আদায় করে। দুজনের মধ্যে একাধিকবার বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতিও হয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানায়, অগ্নিকান্ডের পুর্ব দিন বুধবার রাতেও সাইফুলের নেতৃত্বে ১০/১২জন দূবৃর্ত্তরা ওই বাড়িতে হানা দেয়। এসময় সোনামিয়া না পেয়ে তার স্ত্রী রাশেদা বেগমকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দেয়।

এব্যাপারে নুরুল আলম প্রকাশ সোনা মিয়া বলেছেন, তারা আমাকে না পেয়ে ওইদিন আমার স্ত্রীকে বলেছিল চলে না গেলে ঘর জ্বালিয়ে দেবে। এখন তা হয়েছে। আমার আর দাঁড়াবার শক্তি নেই। নুরুল আলমের স্ত্রী রাশেদা বেগম জানিয়েছেন, দ্রুত বের না হলে আমি, আমার শ্বাশুড়ি ও তিন সন্তান পুড়ে ছাই হয়ে যেতাম। প্রায় ৪০ মন ধান, দুই শতাধিক মুরগী পুড়ে গেছে। আল্লাহর কোরান শরীফও আগুন থেকে রেহাই পাইনি।


শেয়ার করুন