দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিপাকে

ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড রেজুগর্জন বনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়

Azad ukhiya,01,11,2015শফিক আজাদ,উখিয়া :

উখিয়ার পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২৯ শে জুলাই প্রবল বর্ষন ও ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেলেও ৩মাস যাবৎ সরকারী-বেসরকারী ভাবে কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি কেউ । বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে শিক্ষকেরা। আগামী পিএসসি সমাপনী পরীক্ষায় এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অভিভাবক মহল। কোথায় গিয়ে ঠাই হবে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে তা ভেবে পাড়ছেন না শিক্ষক ও অভিভাবক মহল।

জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ির একমাত্র অজপাড়া গাঁ হিসেবে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার ভবিষ্যত চিন্তা করে ১৯৯২ সালে স্থানীয় এলাকাবাসির সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা করা হয়। দীর্ঘদিন পর ২০০৪সালে তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সহযোগিতায় একটি টিন সেট ৩কক্ষ বিশিষ্ট ঘর নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে অতি কষ্ট করে এই ঝরাজীর্ণ ঘরে ৪জন শিক্ষক যাথাক্রমে ছৈয়দ হামজা, শফিউল ইসলাম,বুলবুল আক্তার পাঠদান দিয়ে আসছে। বর্তমান প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। সরকার বিগত ২০১৩ইং সালে জাতীয় করনের আওতায় নিয়ে আসেন এই রেজু গর্জন বনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।

টানা বর্ষন ও ঝড়ো হাওয়ায় বর্তমানে বিদ্যালয়টি সম্পুর্ন বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপন্দ্রে লাল কারবারী বলেন, তাদের হাতে এমন কোন ফান্ড নেই নতুন করে বিদ্যালয় নির্মান করে পুনরায় চালু করবে। তাই এখন সকলেই হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে জানান। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা জেলা পরিষদ সদস্য মাষ্টার ক্যউচিং চাক ,উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুতাহের কোম্পানী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহমেদ কে তাৎক্ষনিক মোবাইল ফোনে অবহিত করেছেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আহমদের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এবং শীঘ্রই সংস্কার করা হবে।


শেয়ার করুন