ঘুষ বানিজ্যের মিশনে নেমেছেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রভাত বড়ুয়া

index copyবিশেষ প্রতিবেদক : সদর নির্বাচন কর্মকর্তা প্রভাত বড়–য়ার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা দিলে তথ্য মিলে সদর নির্বাচন অফিসে। নতুবা কিছুই জানা যাবেনা। খোদ সাংবাদিকদেরও টাকা ছাড়া তথ্য দেয়া হয় না এখানে। সদর নির্বাচন কর্মকর্তা প্রভাত বড়–য়ার যোগসাজসে একটি সিন্ডিকেট প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি গোপনীয় তথ্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সুত্রে জানা যায়, রামু উপজেলা থেকে বদলী হয়ে প্রভাত বড়–য়াকে সদর অফিসে আনা হয়। এখানে যোগদানের পর থেকে প্রার্থীদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা আদায় করে  আসছে সে। মনোনয়পত্র জমা দেয়ার পর তাকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। নচেৎ মনোনয়নপত্র ফরমে নানা খোদ দেখিয়ে তা বাতিলের হুমকী দেয়া হয়। এছাড়া মনোনয়নপত্র বাতিল হলে প্রার্থীরা আপিল করার পরও প্রভাত বড়–য়াকে টাকা দিয়ে খুশি রাখতে হয়। আর টাকা না দিলে ওই প্রার্থীর বিপক্ষে শুনানী হয়। বিগত সদর ও রামুর ৯ ইউপির নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে ২০ জন প্রার্থী অভিযোগ করেন এ প্রতিবেদকের কাছে। তারা জানান, মনোনয়নপত্র বাতিলের ভয় দেখিয়ে সে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে নিয়েছে। এছাড়া শুনানী প্রার্থীদের পক্ষে করার জন্যও প্রভাত বড়–য়া ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী অভিযোগ করার সাহস পাননি। কারণ অভিযোগ করলে প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। জানা যায়, ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে প্রভাব বড়–য়াকে সদর নির্বাচন অফিস থেকে রাঙ্গুনিয়া কলেজে বদলী করা হয়েছে। উখিয়া নির্বাচন শেষ করে সে রাঙ্গুনিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবে। তাই শেষ সময়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে যা পায় তা লুপে নিচ্ছে। এতে ওই কর্মকর্তা কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না। টাকা দিলে তার কাছে সবই বৈধ। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রভাব বড়–য়া জানান, অনেক কষ্ট করে রামু থেকে সদর অফিসে এসেছি। তাই এর সুফল পাচ্ছি। তিনি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। সর্বশেষ সোমবার রাতে সদ্য সমাপ্ত হওয়া সদরের ৪ ইউনিয়নের নির্বাচনের ফলাফল নিতে তার কাছে গেলে কোন ধরনের তথ্য দিতে অপারাগতা জানান। সাথে সাথে সংবাদকর্মীরা তাৎক্ষনাত জেলা নির্বাচন অফিসার মোজাম্মেল হোসেন ও জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন কে অবহিত করেন। এরপর সেই প্রভাত বড়–য়ার কাছে জেলা প্রশাসকের কথা বললে সে উল্টো আরো হুমকি স্বরুপ সংবাদকর্মীদের ডিসি সাহেব আমাকে ফোন করবে বলে সাংবাদিকদের নাজেহাল করেন। গোপন সুত্রে জানা গেছে, দায়িত্বরত সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার প্রভাত বড়–য়া আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চাকরী ছেড়ে দিয়ে কক্সবাজার ছাড়ছেন। সে রাঙ্গুনিয়া কলেজে ইংরেজী প্রভাষক হিসেবে যোগদান করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে। এই জন্য চাকরী ছাড়ার আগে নির্বাচনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ বানিজ্য করে চাকরীকে ইস্তেফা দিয়ে বদনামের ভাগী নিয়ে কক্সবাজার ছাড়তে মিশন বাস্তবায়ন করছে দুর্নীতিবাজ প্রভাত বড়–য়া।


শেয়ার করুন