ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির আইসি’র দুর্নীতির অভিযোগ

downloadনিজস্ব প্রতিনিধি

উখিয়ার পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক জাকের হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম,দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার এসব অনিয়ম,দুর্নীতির কারণে দিন দিন ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ। তাকে দ্রুত এখান থেকে বদলি করা না হলে এলাকাবাসির তার বিরুদ্ধে আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত প্রায় বছর আগে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়িতে আইসি হিসেবে যোগদান করেন উপ-পরিদর্শক জাকের হোসেন। যোগদানের কিছু দিনের মধ্যে সে সীমান্ত এলাকার যতসব চোরাকারবারী, ইয়াবা পাচারকারী, দুষ্কৃতিকারী রয়েছে তাদের সাথে গড়ে তুলেন সু-সম্পর্ক। এতের নিকট থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অজুহাত দেখিয়ে দৈনিক ও মাসিক হারে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে থাকে। এছাড়াও কোন কারণ বিহীন লোকজনকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন পুর্বক টাকা আদায় করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি মুঠোফোনে এ প্রতিবেদকে জানান, গত ৭মে ঘুমধুম ৫নং ওয়ার্ডের আবু তাহেরের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম(২৮)কে ইয়াবা সহ আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসার পর ১লাখ ২০হাজার টাকায় ছেড়ে দেয়। এমনকি সোমবার সকালে তাকে চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় ফাঁড়ির পার্শ্ববর্তী স্থানীয় ঘুমধুম কচুবনিয়া এলাকার ইউপি সদস্য সুব্রত বড়–য়ার করাত কলে হানা দেয়। সুব্রত বড়–য়া বলেন, ঘুমধুমে একমাত্র বৈধ কাগজপত্র নিয়ে তিনি করাত কলের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। আর বাকী গুলো সব অবৈধ কিন্তু ওই সব করাত কলে অভিযান না করে আমার এখানে রহস্যজনক অভিযান করে। এতে বিট কর্মকর্তা ও জড়িত রয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির আইসি জাকির হোসেন বলেন, বিট কর্মকর্তার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমি অভিযান পরিচালনা করেছি। আর আমার ব্যাপারে যেসব অভিযোগ আপনারা শুনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। বিট কর্মকর্তা ছৈয়দ আলম বলেন উপরের নির্দেশে উক্ত করাত কলে অভিযান চালানো হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাফায়াৎ মুহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, নাইক্ষ্যংছড়িতে কিছু হলে আমাকে জানানো দরকার। কিন্তু এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। এ বিষয়ে জানার জন্য সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল(নাইক্ষ্যংছড়ি) মাহামুদের নিকট একাধিক বার ফোন করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


শেয়ার করুন